ট্রাইব্যুনালে আরো দুই মামলার রায় প্রদানের অপেক্ষায়

বাংলার আদালত
image_156818.oooমুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরো ২ টি মামলার রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) এবং অপর ২টি মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে যুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ১৩ মামলায় রায় প্রদান করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ২ মামলার আসামিরা হলেন-জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুস সুবহান ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের (পলাতক) মামলায় বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ দুই আসামির বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলার শেষ ধাপ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে। চলতি সপ্তাহে এ দুই মামলায় বিচারের শেষ ধাপ যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য রাখা হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বাসসর সঙ্গে আলাপকালে এ সব তথ্য জানান। শিগগিরই অপেক্ষমান থাকা দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে গত ২৪ নভেম্বর ঘোষিত রায় ট্রাইব্যুনালে দেয়া ১৩তম রায়। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনীত মামলায় আরো বারটি রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম প্রধান অঙ্গিকার ছিলো যুদ্ধপরাধীদের বিচার করা। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোট দুই তৃতীয়াংশের বেশী আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
সরকার গঠনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই যুদ্ধপরাধীদের বিচারে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল, তদন্তকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশন গঠন করা হয়। প্রথমে ১টি ট্রাইব্যুনালে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে এ বিচারকে তরান্বিত করতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরো একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্টিত নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় সরকার গঠনের পর ট্রাইব্যুনালে ৪টি ও আপিলে ২টি মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *