৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় নন ক্যাডার পদের জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ জনের শূন্য পদের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এ ছাড়া আরও শূন্যপদ পেতে কাজ করছে পিএসসি। পিএসসির একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পিএসসি সূত্র বলছে, সরকারি প্রথম শ্রেণির ৩০০ ও দ্বিতীয় শ্রেণির এক হাজার ৫০০টি শূন্য পদের তালিকা ছাড়া আরও কিছু পদ পাবে বলে তাঁরা আশা করছে। মেধাতালিকা অনুসারে, এসব পদে নিয়োগ পাবে নন ক্যাডারধারীরা। তবে কবে এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের চাহিদা জানানোর জন্য আধা সরকারি পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ করেছি। অনেক শূন্য পদের তালিকা নিয়ে এসেছি। আরও শূন্য পদ পাব বলে আশা করছি।’
নন ক্যাডারে থাকা একাধিক প্রার্থী বলেন, পিএসসি চেয়ারম্যান স্যারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে ৩৫তম বিসিএসের প্রায় সব নন ক্যাডার প্রার্থী কোনো না কোনো সরকারি চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা আশা করেন, ৩৬ তম বিসিএসেও এই ধারা বজায় থাকবে। এতে তাঁদের বেকারত্ব ঘুচবে। অনেক প্রতিযোগীদের মধ্যে লড়াই করে তাঁরা এ পর্যন্ত এসেছেন।
গত ১৭ অক্টোবর ৩৬তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে ২ হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ক্যাডার না পাওয়া ৩ হাজার ৩০৮ জনকে নন ক্যাডারে রাখা হয়েছে। ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে ২৯২টি, পুলিশ ক্যাডারে ১১৭টি, কর ক্যাডারে ৪২টি, পররাষ্ট্র ২০, নিরীক্ষা ও হিসাব ১৫, কৃষি ৩২২, মৎস্য ৪৮, স্বাস্থ্য সহকারী সার্জন ১৮৭, পশুসম্পদ ৪৩ সহ ২ হাজার ৩২৩ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়েছে।
৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৫ হাজার ৯৯০ জন উত্তীর্ণ হন। প্রথম শ্রেণির ২ হাজার ১৮০ জন গেজেটেড কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে ২০১৫ সালের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ৮ জানুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এতে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন মাত্র ১৩ হাজার ৬৭৯ জন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১২ হাজার ৪৬৮ জন। চাকরি প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন ১২ মার্চ থেকে। তা শেষ হয় ৭ জুন।