বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে দুদক কাজ করছে

Slider জাতীয়

222002kalerkanrtho_pic.jepg_

 

 

 

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম বিশেষ করে বিচার প্রক্রিয়ায় দ্রুততর করতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ পরিচালনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য মঙ্গলবার তার অফিসে বলেন, কিছু আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান এবং তদন্ত সম্পন্ন করতে আমরা কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি।

দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের মান নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদকের কার্যক্রমে গতি সঞ্চারে দুর্নীতির নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষ করতে কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।

বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য প্রতিটি মামলার নির্দিষ্ট তারিখে সাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির নিশ্চিত করতে ডিএ (মহার্ঘ্য ভাতা) দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুদক মুখপাত্র বলেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, প্রকিউশন সাক্ষীদের আদালতের সামনে উপস্থিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় মামলার তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তির জন্য দুদক প্রসিকিউশন টিম আরো কার্যকর করে তুলতে অদক্ষতার জন্য ২০ আইনজীবীর নিয়োগ বাতিল করার পরে ২০ জন নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কমিশনের পক্ষে আদেশ পেতে পৃথক অপরাধ নির্ধারণে দুদক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দুদকের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে দুর্নীতি মামলায় অপরাধীদের দোষী করার রায় ২০১৭ সালে বেড়ে ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতির অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে মানসম্পন্ন তদন্তের উন্নয়নে কমিশন সর্বোত্তম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি এক বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার বেড়ে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬৯ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। তবে, আমরা এতে সন্তুষ্ট নই, আমরা শতভাগ অপরাধীর শাস্তি দেখতে চাই।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ছিলো মাত্র ২০ শতাংশ, তবে ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৫৪ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ৬৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *