তাহলে কি অজয় দেবগন বেকার হয়ে যাবেন? না, প্রযোজনার কাজ আছে যে! ইন্ডাস্ট্রিতে এখন বরুণ ধাওয়ান আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রার মতো নতুন তারকারা কাজ করছেন। এঁরাই আপনার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে, আপনি কি এমনটাই ভয় পাচ্ছেন? অজয় দেবগন: দে আর মোর দ্যান ওয়েলকাম। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে রয়েছি। রয়েছি এবং কাজও করেছি। আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের একটা জায়গা রয়েছে। এবার নতুনদের জায়গা করে নেওয়ার পালা। আমি শুধু অভিনেতাদের কথাই বলছি না। আমার এই মন্তব্য নতুন ফিল্মমেকার আর টেকনিশিয়ানদের জন্যও। ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গী আনার কাজটা তো এরাই করবে। দর্শকরা যদি এদের গ্রহন করে, তাহলে সবকিছুই আস্তে-আস্তে বদলাবে। এটা একটা ন্যাচারাল প্রসেস। আমরা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, তখন আমরাও কয়েকজন অভিনেতাকে রিল্পেস করেছিলাম। সুতরাং এটা হয়েই থাকে।
প্রশ্ন:: আগামী পাঁচ বছরে আপনি নিজেকে কী অবস্থায় দেখছেন? অজয় দেবগন: আই অ্যাম প্রিপেয়ার্ড টু লিভ ইট নাও। সত্যি বলতে কী, আমি এখন চাই বছরে একটা করে সিনেমা তৈরি করতে আর কয়েকটা সিনেমা পরিচালনা করতে। সারা জীবন ধরে তো আইম আর হিরো হয়ে থাকবো না।
প্রশ্ন:: তাহলে এই স্টারডমটা মিস করবেন না? অজয় দেবগন: ইতিমধ্যেই যথেষ্ট স্টারডম পেয়েছি। নতুন করে আর হারানোর কিছু নেই। একবার তারকা-খ্যাতি পেয়ে গেলে সেটা আর পিছু ছাড়ে না। ইন্ডাস্ট্রির সেরা জায়গাটার দৌড়ে যদি আপনি নাও থাকেন, তাহলেও সেই তারকা-খ্যাতি হারানোর ভয় থাকে না।
প্রশ্ন:: আপনার সেরা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কোনটাকে মনে করেন? অজয় দেবগন: আরে সেটা তো এখনও খুঁজেই পেলাম না।
প্রশ্ন:: তাহলে কাজলকে প্রশ্ন করে দেখবেন? অজয় দেবগন: নাহ্। আমি কারওকে জিজ্ঞেস করতে চাই না। কাজলকে না, পরিবারের কারওকে না।
প্রশ্ন:: আপনি এরপর কী করছেন? অজয় দেবগন: পরের ছবিটা একটা ‘ড্রামা অ্যাকশন’। নাম ‘শিবায়’। এই ছবির হিরো একজন শিব-ভক্ত। আমি নিজেও তাই। তবে ছবিটা কিন্ত্ত খুবই আধুনিক।
প্রশ্ন:: পুরাণ বলে শিব খুব দ্রুত রেগে যান, আবার অনেক সময় একেবারে ঠাণ্ডা থাকেন! অজয় দেবগন: আমিও তাই! সহজে মেজাজ হারাই। আবার ‘কুল’ হয়ে যাই তাড়াতাড়ি।
প্রশ্ন:: আপনি কি ধার্মিক? অজয় দেবগন: আমি ঠিক রিলিজিয়াস নই, স্পিরিচুয়াল বলতে পারেন। আমি প্রার্থনায় বিশ্বাস করি। রোজ। সেই প্রার্থনার উদাহরণ আমি দিতে পারবো না। তবে মোটের ওপর অন্যরা যেভাবে প্রার্থনা করেন, আমিও তাই করি।