এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা দীর্ঘদিন আগে জীবিকার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। এরপর তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্বচান্দরা এলাকায় ফারইস্ট নিটওয়্যার নামে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। কিছুদিন পর একই কারখানার নিরাপত্তাকর্মী বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে ফরিদার বিয়ে হয়। ওই স্বামীর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল। তাঁদের সংসারে ফয়সাল হোসেন নামে সাত বছরের এক ছেলে রয়েছে। কিন্তু গত দেড় থেকে দুই বছর আগে স্বামী-সন্তানকে ত্যাগ করেন ফরিদা। পরে ফরিদার সঙ্গে উপজেলার কালামপুর এলাকার দোকানি দুই সন্তানের বাবা মামুন হোসেন খানের (৫০) সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পূর্বচান্দরা এলাকার দবির সরকারের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
ফরিদার কথিত স্বামী মামুন জানিয়েছেন, এখনো তাঁদের বিয়ে হয়নি। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে ফরিদার সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল সোমবার রাতে তাঁরা দুজনই একই ঘরে ঘুমান। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে ফরিদার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। মামুন জানান, তিনি রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফরিদা কখন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, তা তিনি বুঝতে পারেননি।
খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরিদার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামুন হোসেন খানকে আটক করেছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিম হোসেন জানান, নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ফরিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে সন্দেহজনক হওয়ায় মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।