জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চেএ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। গত ২০ আগস্ট খালেদা জিয়ার ওই আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানান তিনি।
গত ০৬ আগস্ট হাইকোর্টে চতুর্থবারের মতো আদালত পরিবর্তনের আবেদন জানান মামলাটির প্রধান আসামি খালেদার আইনজীবীরা। আবেদনে বলা হয়, গত ২৭ জুলাই ওই আদালতের বিচারক মৌখিকভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ০৩ আগস্ট খালেদার জামিন বাতিলে মাত্র আধা ঘণ্টার কারণ দর্শাও (শোকজ) নোটিশ জারি করা হয়। এগুলো ছাড়াও নানা কারণে বিচারকের ওপর খালেদা জিয়ার আস্থা নেই।
এর আগে খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে গত ১৪ মে তৃতীয়বারের মতো আদালত পরিবর্তন করে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ। সে সময় মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছিল মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে। ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়।