ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের করা দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে গতবারের চেয়ে ২৫ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪৭তম। যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে।
গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭২তম। বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার বাকি দেশগুলো অনেক পিছিয়ে। মালদ্বীপ (১০৬) , ভারত (১০৮), শ্রীলংকা (১০৯), নেপাল (১১১), ভুটান (১২৪) এবং পাকিস্তান (১৪৩) – কোনো দেশই এখনো একশ’র আগে আসতে পারেনি।মাতৃতান্ত্রিক সমাজ বলতে বোঝায় যেখানে পরিবারের দায়িত্ব থাকে একজন নারীর উপর এবং বংশের ধারাও নির্ধারিত হয় নারীর দিক থেকে। মোটের উপর সম্পদের দায়িত্বও মা থেকে মেয়ের উপর বর্তায় এবং বিয়ের পর পুরুষ নারীর ঘরে চলে যান। তবে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব থাকে পুরুষের কাঁধে। আর তারা এটাকে বিবেচনা করে ক্ষমতার সুষম বণ্টন হিসেবে।
২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচক প্রকাশ করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এই সূচকে নারী-পুরুষের বৈষম্য ও বিভিন্ন সময়ে এ বৈষম্য দূরীকরণে দেশগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
স্বাস্থ্য ও গড় আয়ু, শিক্ষার সুযোগ, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন—মূলত এ চারটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এবার ১৪৪টি দেশের এ তুলনামূলক বিশ্লেষণ হয়। এ রিপোর্টে বাংলাদেশের দুই ধাপ নীচে অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।এবারও তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড। নবম বারের মতো দেশটি এ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। বৈশ্বিক লিঙ্গসমতা সূচকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড। এ তালিকায় জার্মানির অবস্থান ১২তম। আর সবচেয়ে নিচের অবস্থানে রয়েছে ইয়েমেন।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বছর যে ১৪২টি দেশ এ তালিকায় ছিল, তাদের মধ্যে ৮২টি দেশ সার্বিক বিচারে লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে এগিয়েছে। এছাড়াও, গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি দেশ লিঙ্গসমতার ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য অবস্থানে এসেছে।
সূত্র: ডয়েচেভেলে।