পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে মহাসড়কের কুনিয়াও মালেকের বাড়িসহ বেশ কিছু জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দে পানি জমে আছে। এ ছাড়া শনিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তারগাছ এলাকায় মালবোঝাই একটি ট্রাক বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে যানজট শুরু হয়। সকালের দিকে গাড়ির চাপ বেড়ে গেলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, সকালে তিনি গাজীপুর শহরে আসার জন্য বড়বাড়ি থেকে বাসে ওঠেন। যানজটের কবলে পড়ে তিনি প্রায় ৪০ মিনিটে মাত্র দুই কিলোমিটার পথ এগোতে পেরেছেন।
জয়দেবপুর থানার ভোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. জাকির হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কুনিয়া ও মালেকের বাড়িসহ বেশ কয়েক জায়গায় বিটুমিন উঠে অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে পানি জমে আছে। এ ছাড়া শনিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তারগাছ এলাকায় মালবোঝাই একটি ট্রাক বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই পথে যানজট শুরু হয়। সকালের দিকে গাড়ির চাপ বেড়ে গেলে যানজট আরও বেড়ে যায়। বিকেলেও থেমে থেমে যানজট চলছিল।
গাজীপুর সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নাহিন রেজা বলেন, বর্ষণের কারণে মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি এবং তারগাছ থেকে উত্তর দিকে চান্দনা-চৌরাস্তার দক্ষিণে চৌধুরী বাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানার পানি গিয়ে মহাসড়কে পড়ছে। এতে মহাসড়ক ও এর দুই পাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে এসব এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে আরও প্রশস্ত নালা নির্মাণ জরুরি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, সকালে তিনি চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকা থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে বাসে রওনা হন। বাসে ওঠার পর বাইপাসে পৌঁছার আগেই যানজটের কবলে পড়েন তিনি। ৪৫ মিনিটে মাত্র দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছেন।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, কুনিয়া ও মালেকের বাড়ি এলাকায় খানাখন্দ, বাসন সড়ক, ভোগড়া বাইপাস এলাকায় মহাসড়কের পাশে বৃষ্টির পানি জমায় এবং রাতে তারগাছ এলাকায় ট্রাক বিকল হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক বিভাগ গর্ত মেরামতের কাজ করছে। হাইওয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসনে কাজ করছেন।