আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে হবেই। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের নেতারা এ কথা জানান।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
সভাপতির বক্তব্যে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। অন্য কোনো পন্থায় নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিল, খালেদা জিয়া তখন বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন তিনি কোন মুখে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আদালতের মাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে—খালেদা জিয়া ও বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আপনি তো কোর্টকে হেনস্তা করছেন। ১৪৩ বার সময় নিয়েছেন। আপনার ভাষায় বলতে চাই, আপনিই আদালতকে হেনস্তা করছেন। আদালত আপনাকে হেনস্তা করছেন না।’
বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, কোনো সহায়ক সরকার হবে না, কোনো ভাবনার সরকার হবে না। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আপনারা এলে আসবেন, না এলে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করুন। আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা হবে না। খুনিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে শেখ সেলিম বলেন, আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, জ্বালাও-পোড়াও করলে ছাড় দেওয়া হবে না। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৯ সালে বিজয়ের মাসে এ নির্বাচন হবে। বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ আন্দোলনে চ্যাম্পিয়ন। আমরা মার খেয়ে মাঠে থেকেছি।’
বিএনপিকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যদি সাহস থাকে আগামী নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনের মাঠ থেকে পালাবেন না। দেখব জনগণ কাকে চায়। মিথ্যাচার, মানুষ হত্যা, লুটপাট, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কলঙ্কিত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।