আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে অনুষ্ঠিত সংলাপে আমরা (আওয়ামী লীগ) যে প্রস্তাব দিয়েছি তা জনস্বার্থে আর বিএনপি যা দিয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
নির্বাচনের মাধ্যমে তারা যে জনপ্রিয়তার করতে চাচ্ছেন তা যাচাই করুক। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই অন্য কিছু চাই না। নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষ নেওয়ার দরকার নেই আমরা চাই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক।
ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের দ্বিতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১১-দফা প্রস্তাবনা জনগণরই প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হোক তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায় যেন, তারা যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে। বিএনপির রাজনীতি করে পরের নির্বাচনের জন্য, পরবর্তী জেনারেশনের জন্য নয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ পরবর্তী জেনারেশনের জন্য রাজনীতি করে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা যে একটা সাজানো নাটক তা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা চেয়েছিলেন যেন একটা নিউজ হয়। সাংবাদিকদের উপর হামলা করলে নিউজটা বড় পরিসরে হয়। পরিকল্পিতভাবে ২টি গাড়ি রঙ সাইটে রাখা হয়েছিল এবং সে গাড়িগুলোই জ্বালানো হয়। এটা ছিল মূলত ফেনীর সাজানো ঘটনা এবং সংঘাতের উস্কানী।
‘আমরা সংঘাত চাই না সমঝোতার মাধ্যমে সংলাপের ব্যবস্থা করুন’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমঝোতার দরজা তো আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন খালেদা জিয়ার বাসায় তার মৃত ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতর ছিলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, তারা আশাবাদী কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফখরুল ইসলাম বলেছেন, যে এটা সাজানো সংলাপ। আসলে তারা কী বলতে চান তা স্পষ্ট নয়।
প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
এছাড়াও অবসারপ্রাপ্ত বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, উপকমিটির সদস্য কাশেম হুমায়ুন ও সুভাশিষ সিংহ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।