সিলেট প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)’র পঞ্চম আসর ৪নভেম্বর শনিবার থেকে সিলেটের মাঠে শুরু হচ্ছে। ৩১/১০/১৭ মঙ্গলবার থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে টিকেট বিক্রি। ক্রিকেটপ্রেমীরা বিপিএল টিকেট সংগ্রহের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টায় যখন ঘুমহারাম।
তখনই একটি চক্র সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জাল টিকেট ছড়িয়ে দিয়েছে সিলেটে। ক্রিকেট প্রেমীরা যখন টিকেটের জন্য ঘাম জড়িয়েও কাংখিত টিকেট পাচ্ছেনা না। তখনই প্রতারক চক্রের প্রলোভনে পড়ে জাল টিকেট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমী জনতা।
জানা গেছে, বিপিএলের আসল টিকেটের মতো দেখতে হুবুহু জাল টিকেট সিলেটে ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। ঢাকা থেকে প্রিন্ট করা ওইসব জাল টিকেট সিলেটে ছাড়ছে মৌলভাবাজারের একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে টিকেট কিনে ইতিমধ্যেই প্রতারিত হয়েছেন বেশ কিছু ক্রীড়াপ্রেমী।
নগরীর সুবিদবাজারের বাদল সরকার আসল মনে করে জাল টিকেট কিনে প্রতারিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গ্যালারির ২শ টাকার টিকেট একজনের কাছ থেকে এক হাজার টাকায় কিনেছিলাম। আমার এক বন্ধু জেলা স্টেডিয়ামের বুথ থেকে টিকেট কিনেছে। তার টিকেটের সাথে আমার টিকেট মিলিয়ে দেখতে গিয়েই জাল টিকেটের বিষয়টি ধরা পড়ে।’ তিনি জানান, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের বাইরে এক যুবকের কাছ থেকে টিকেট কিনেছিলেন তিনি।
জানা যায়, একটি চক্র জাল টিকেট ছড়িয়ে দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা ২শ টাকার টিকেট এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়, ৩শ’ টাকার টিকেট ১৫শ’ টাকায়, ৫শ’ টাকার টিকেট দুই হাজার টাকায় বিক্রি করছে। তাদের এই জাল টিকেট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই চক্রটি ফেসবুকের মাধ্যমে জাল টিকেট বিক্রি করছে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জের নাজিম, রবিন ও আবুল ফেসবুকে পোস্ট দেখে ফোনে যোগাযোগ করে এক যুবকের কাছ থেকে উদ্বোধনী ও পরের দিনের ছয়টি টিকেট সাড়ে ছয় হাজার টাকায় কিনেছিলেন। কিন্তু তাদের কেনা টিকেটও জাল হিসেবে ধরা পড়েছে। পরবর্তীতে ওই ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে সেটি বন্ধ দেখতে পান তারা।
নাজিম, রবিন ও আবুল বলেন, ‘জাল টিকেট কিনে আমাদের এতোটা টাকা জলে গেল।
এদিকে, বিপিএলের খেলার দিন প্রবেশপথগুলোতে টিকেটের বারকোড স্ক্যান করে দর্শকদের ঢুকতে দেয়া হবে। কারো টিকেটের বারকোড অনলাইনে সংরক্ষিত বারকোডের সাথে না মিললে তাকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যারা জাল টিকেট কিনছেন, তারা বারকোড স্ক্যানিংয়ের সময় প্রবেশপথেই আটকে যাবেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশী বলেন, ‘টিকেট বারকোড দিয়ে পরীক্ষা করে দর্শকদের ঢুকতে দেয়া হবে। যদি স্ক্যানিংয়ে কারো টিকেট জাল বলে ধরা পড়ে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’