দ্বিধাদ্বন্দ্বে মিলা

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

images

 

 

 

 

চলতি বছরের মে মাসে প্রেমিক পারভেজ সানজারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় পপ তারকা মিলা ইসলাম। এর আগে প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক ছিল মিলা-সানজারীর মধ্যে। কিন্তু মিলার ভাষ্য অনুযায়ী বিয়ের ১৩ দিন পর থেকেই স্বামীর প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে তার কাছে। বিভিন্ন এয়ারহোস্টেজের সঙ্গে সানজারীর সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান মিলা। তবে সেখান থেকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন এ পপ তারকা। একটা সময় মিলাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনও করেন সানজারী।

আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে মিলা শিশু ও নারী নির্যাতন মামলা করেন স্বামীর বিরুদ্ধে। খুব শিগগিরই তাকে ডিভোর্স দেয়ার কথাও জানান তিনি। এমনকি পারভেজ সানজারীর সঙ্গে কয়েকজন তরুণীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ও কিছু ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন তিনি। তিনি জানান, মামলা করায় তার স্বামী সানজারীর পক্ষ থেকে নানা ধরনের হুমকি আসছে। তাছাড়া সানজারীর বন্ধুমহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম রটানোরও চেষ্টা করছেন বলে জানান মিলা। তবে সব মিলিয়ে বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন এ পপ তারকা। কারণ, বার বার তার কাছে ঘুরেফিরে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে সানজারীর সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক, বিয়ে ও সংসার। এ সবকিছুই ভুলে থাকতে পারছেন না তিনি। এদিকে কয়েক দফা জামিন নামঞ্জুর হলেও সম্প্রতি সানজারী জামিনে মুক্ত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে জেলহাজতে থাকা অবস্থায় মিলা সানজারীকে গিয়ে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন মানবজমিনকে। তিনি বলেন, সানজারীকে আমি বলেছি তোমার পরিবার ও বন্ধুমহল আমার বিরুদ্ধে কি রকম চক্রান্ত করছে দেখো। আমার নামে মিথ্যা বদনাম রটাচ্ছে। আর তুমিও এসব এখনও বসে বসে দেখছো। আমিতো তোমার স্ত্রী। স্ত্রীর নামে মিথ্যা বদনাম ছড়াচ্ছে আর তুমি কিছুই বলছো না। এখনও তোমার অনুতপ্তবোধ পর্যন্ত নেই। এত দিনের সম্পর্কের কি কোনো দাম নেই তোমার কাছে? উত্তরে সে বলেছে না, নেই। তার বন্ধুরা ঠিকই করছে জানায় বলে সানজারী। এদিকে মিলা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বেও রয়েছেন সংসার নিয়ে। মিলা বলেন, দেখুন ১০ বছর সম্পর্ক এবং তারপর বিয়ে। এটা একটা মেয়ের জন্য ছেলেখেলা নয়। আমার পুরো জীবনের ব্যাপার। কিন্তু আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। বলতে পারেন মানসিক অবসাদেও ভুগছি। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। কারণ, ডিভোর্স দেয়াটা আমার জন্য খুব কষ্টের ব্যাপার। তারপরও ভাবছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *