বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় কলেজছাত্রের ছুরিকাঘাতে আব্বাস আলী (২৪) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। আহত হয়েছে মো. মারুফ (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র। মুঠোফোন নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ আটক করেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার মহিপুর বটতলা বাজার এলাকায় এই ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আব্বাসকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মারুফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আব্বাসের বাড়ি মহিপুর জামতলা গ্রামে। মারুফও একই গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য আব্বাসের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় নিয়ামুল হক (১৯) নামের এক কলেজছাত্রকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের নাম-পরিচয় পুলিশকে জানিয়েছেন।
নিয়ামুলের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, পুরোনো মুঠোফোন নিয়ে মারুফের সঙ্গে মহিপুর গ্রামের মো. শাকিলের (১৯) বিরোধ ছিল। এ নিয়ে মারুফের সঙ্গে আসা আব্বাসের সঙ্গে শাকিলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় শাকিলের সঙ্গে থাকা আল আমিন ধারালো ছোরা দিয়ে আব্বাসের বুকে ও মারুফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটক করার চেষ্টা করছে। নিহত যুবকের পরিবার থেকে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।