ঢাকা: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও সেখানে ত্রাণ বিতরণে যাওয়া ও আসার পথে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো আধুনিক রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসীদের আখড়া। এরা সবসময় রক্ততৃষ্ণায় কাতর থাকে। এই দলটি দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবাত্মার অবমাননার বিভিন্ন দিক। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে।
আর দেশব্যাপী এই পিশাচদের দোর্দন্ড পদচারণার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ফেনী জেলাকে। ফেনী শহর এখন বিবেকবর্জিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ে সহায়তা দিতে বাধা দানের উদ্দেশ্যে তারা আমার গাড়ি বহরে চৈতন্যহীন বর্বর আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করেনি। শুধু অসংখ্য গাড়ি কিংবা দলের নেতাকর্মীদেরকে আঘাত করা নয়, তারা দায়িত্বরত গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের উপরও নৃশংস আঘাত করেছে এবং তাদের যানবাহন ভাংচুর করেছে। দেশে এখন জবাবদিহিতাহীন নির্মম দুঃশাসন বিরাজমান বলেই সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া বিস্তারলাভ ঘটেছে। তাদের সৃষ্ট অবসন্ন গণতন্ত্রে মানুষকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশে ন্যায় বিচার মহাশুণ্যে বিলীন হয়ে গেছে। বিচারহীনতার কারণেই সন্ত্রাসীরা বেআইনী কাজ করতে উৎসাহিত হচ্ছে। এরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া দুরে থাকুক বরং ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে জনগণের ওপর রক্তাক্ত আগ্রাসনের পূণরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আজও আমার গাড়ীবহর ঢাকা যাবার পথে ফেনী শহর অতিক্রম করার সময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ দুুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে সন্ত্রাসী আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে তা সরকারের বর্বরতম পরিকল্পনারই অংশ। আমি আজ গাড়ীবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহবান জানাচ্ছি।
এদিকে অপর এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল ফেনীর মহিপালে হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিকভাবে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র নেতৃত্বে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এক প্রতিবাদ মিছিল থেকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ, শেরেবাংলা নগর থানা ছাত্রদল নেতা অয়ন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল নেতা মিজান, মতিঝিল শ্রমিক দল নেতা দেলোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তাহমিদ, হুমায়ুন কবির, ইশতেহার, আব্দুল আল নুর, আজাদসহ ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।