তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ইতিহাস ধামাচাপা, খুনি রক্ষা, রাজাকার-জঙ্গির সঙ্গে ঐক্য আর আগুন সন্ত্রাস—চার অপরাধের দায়ভার নিয়ে খালেদা জিয়া এখনো চক্রান্ত ছাড়েননি, রাজাকার ও জঙ্গির সম্পর্ক ছাড়েননি। তাই খালেদার কাছে দেশ মানে রাজাকারের কাছে ইজারা। তাঁর চোখের জলে সামরিকতন্ত্রের ময়লা যায় না। তাঁকে (খালেদা জিয়া) ৩০ লাখ শহীদ, গণহত্যা, জাতির পিতা ও সংবিধানের চার নীতি মানতে হবে, রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গি ছাড়তে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেলে জাসদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক বলেন, সমাজতন্ত্রের পতাকা হাতেই জাতীয় প্রয়োজনে জঙ্গি–সন্ত্রাস মোকাবিলায় রাজনৈতিক ঐক্যের নীতি গ্রহণ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। জাতির ক্রান্তিকালে দিশেহারা বা বিভ্রান্ত না হয়ে, দলের লাভ-ক্ষতির চেয়ে সংকট মোকাবিলাকে বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়েছে জাসদ।
হাসানুল হক বলেন, যত দিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এবং শোষণ-বৈষম্য অবসানে দোদুল্যমানতা বা ভীরুতার বিপরীতে সাহস দেখানোর প্রশ্ন থাকবে, তত দিন জাসদের চাহিদা থাকবে। ডান-বাম বা জাসদ পরিত্যাগকারীরা যতই অপবাদ দিক না কেন, জাতির প্রতি দায়িত্ব পালন থেকে জাসদের কর্মীদের দূরে সরাতে পারেনি। বাংলাদেশের আত্মাকে ধারণ করে বলেই জাতীয় রাজনীতিতে জাসদের উপস্থিতি অনিবার্য।
যাঁরা জাসদের সমালোচনা করেন, তাঁরা জাসদকেই তাঁদের পাশে চান, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাসদ জঙ্গি দমনে আপসহীন, বৈষম্য কমাতে অটল, দলবাজি বন্ধে বলিষ্ঠ, দুর্নীতি বন্ধে কঠোর, উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সমাজতন্ত্রের ধারক। জাসদ সময়ের সঙ্গে হাটে, দেশ-জনগণের পক্ষে থাকে, সমাজ বদলের পতাকা হাতে থাকে সামনে সবার। জঙ্গি ধ্বংস করতে মহাজোট সরকার আর বৈষম্য-দারিদ্র্য দূর করতে দরকার জাসদ ও সমাজতন্ত্র, বলেন জাসদ সভাপতি।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ শিরীন আখতারসহ রবিউল আলম, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, নূরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, শফিউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
এর আগে সকালে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দলের বীর শহীদদের স্মৃতিস্মারকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন হাসানুল হক ইনু। এ সময় দলীয় শীর্ষ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।