পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ‘যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ। ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে একাত্তরের ইতিহাস বিকৃতি করে ভিডিও লিংক প্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি পাকিস্তান অ্যাফেয়ার্স নামে একটি ফেসবুক পেজে প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়েছে ‘শেখ মুজিবুর রহমান নন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। আর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর তাজউদ্দীন আহমেদ এ ব্যাপারে তখনকার মেজর জিয়াকে সমর্থন দেন।’
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন পরে নিজেদের ফেসবুক পেজে ওই ভিডিও শেয়ার করলে গণমাধ্যমে খবর আসে। পরে এ নিয়ে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিবাদ জানায় ।
আজ বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, যুদ্ধের সময়ও কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকে। আর আমরা চাইছি স্বাভাবিক সম্পর্কটা (পাকিস্তানের সঙ্গে) গড়ে উঠুক। ব্যবসা-বাণিজ্য হোক।
মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠক দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে। সরকার চায়, সেই বৈঠক হোক। যেখানে দুই দেশ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।
একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হওয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গত বছর ইউনেসকোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো। এর মাধ্যমে বিশ্ব বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব, বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামে তাঁর অবিসংবাদিত ভূমিকার বিষয়টি আরও বিশদভাবে জানার সুযোগ পাবে। এই ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বাঙালি জাতি এবং সব মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার অনন্য উৎস হয়ে প্রেরণা জোগাবে।’