সকালের ৫ ভুল শুধরে নিন

Slider লাইফস্টাইল

16c31c9538a6a1326f2cf16603bee432-59f7f853128d4

 

 

 

 

সকালটা আপনার কেমন কাটে? বলতে পারেন, তা জেনে তোমার দরকার কী, বাপু? দরকারটা কিন্তু আপনারই। কারণ, সকালে ঘুম থেকে উঠেই যে পাঁচটি ভুল অনেকে করে থাকেন, এর মাশুল কিন্তু কম নয়। দেখে নিন, এই ভুল পাঁচটি আপনিও করেন কি না। শুধরানোর এটাই সুযোগ।

বিরক্তিকর শব্দে জেগে ওঠা
মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর শব্দ বা ঘটনা এড়ানো যায় না। কিন্তু ইচ্ছে করে বিরক্তিকর অ্যালার্ম টোন বেছে নেওয়া বড় ধরনের বোকামি। কারণ, এমন শব্দে জেগে উঠলে দিনটাই শুরু হবে বিরক্তি দিয়ে। আবার অ্যালার্মের ‘স্নুজ’ বাটনে চাপ দেওয়ার অভ্যাসও খুব একটা ভালো কিছু নয়। কারণ, পাঁচ মিনিট পরপর বিরক্তিকর শব্দে ঘুম ভাঙা দেহ ও মনের জন্য ক্ষতিকর। কষ্ট হলেও একবারেই জেগে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। যতটা সম্ভব আরামে জেগে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রিয় কোনো গান অ্যালার্ম হিসেবে বেছে নিন। রাতে একটু আগেভাগে ঘুমিয়ে নিলেও মন্দ হয় না!

দিনের শুরুতেই তাড়াহুড়া
কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেরি হলে দিন ভালো যাবে না—এটাই স্বাভাবিক। আর অফিসে যাওয়ার আগেই দৈনন্দিন কাজগুলো সেরে নেওয়া চাই। তাই এ সময়ে তাড়াহুড়া স্বাভাবিক। এটা অভ্যাসে রূপ নিলে সমস্যা। এভাবে তাড়াহুড়া আপনার মস্তিষ্ককে বাকি দিন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করার কোনো সুযোগ দেয় না; বরং ছোটখাটো সব বিষয় নিয়ে অযথা ভাবতে গিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বর্তমানের চেয়ে ৩০ মিনিট আগে জেগে ওঠার চেষ্টা করুন।

নাশতা না করা
সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকে নাশতা করার বিষয়টি আমলেই আনেন না। আবার অনেকে নাশতা না করাকেই অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন। অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। অনেকেই আবার চা-কফি দিয়েই কাজ সেরে নিতে চান। মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে চাঙা করতে কফির জুড়ি নেই, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি শক্তি তো দেওয়া সম্ভব নয় এর পক্ষে।
নিজেকে পুরো দিনের জন্য প্রস্তুত করতে শর্করা, আমিষ ও ফলনির্ভর নাশতা খাওয়া জরুরি। বেশি না, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই এটা করা সম্ভব। নিজের জন্য ১৫ মিনিটও যদি বের করতে না পারেন, তবে নাশতার চেয়ে বড় সমস্যা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

ব্যস্ততা দিয়েই দিন শুরু
ঘুম থেকে উঠেই অনেকে মোবাইল ফোন নিয়ে বসে যান। ই-মেইল চেক করেন। ফোন করে কাছের মানুষ বা বন্ধুবান্ধবের খোঁজ নেন। কেউ কেউ তো সহকর্মীকেই ফোন দিয়ে বসেন। ভাবেন, অফিসে যাওয়ার আগে খানিকটা কাজ ফোনেই সেরে ফেলা যাক। ভুল! এতে আপনার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, কাজ থেকে তো বিশ্রামই মিলছে না আপনার। সকালে কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন বা নিজের প্রিয় কোনো বিষয়ে ব্যস্ত থাকুন। এতে আপনার মস্তিষ্কও সময় পাবে আরেকটি কর্মব্যস্ত দিনের জন্য প্রস্তুত হতে।

কঠিন কাজ এড়িয়ে চলা
দিনের শুরুতেই কঠিন কাজে গা লাগাতে মন টানে না। আয়েশি শরীর-মন নিয়ে কে চায় নিজেকে ঝামেলায় জড়াতে! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কঠিন কাজ আগেভাগে সেরে নিলে দিনের বাকি সময়টা ভালো কাটে। অন্য সব কাজ তখন জলের মতো তরল।

দিনের শুরুটা কখনোই মনের মতো হবে না। তেব কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলে শুভসূচনা তো পেতে পারেন। এটাই-বা কম কী! সূত্র: এন্ট্রাপ্রেনিউর ডট কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *