মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজার মহেশখালীর মৃত মৌলবি আব্দুল মজিদকে (৮৫) পলাতক দেখানোয় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)জহিরুল হককে তলব করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৬ নভেম্বর তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারের এসপি ও মহেশখালী থানার ওসিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যর আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মহেশখালীর বিএনপির প্রাক্তন সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মানন্তর ও দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী ১৩ টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- মৌলবি জকরিয়া শিকদার (৭৮), মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মৌলবি নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলবি আমজাদ আলী (৭০) ,বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মৌলবি সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮) মৌলবি জালাল (৭৫) ও আব্দুল আজিজ (৬৮)।
এদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।