সিনেমার নামে যৌন কুকীর্তি যেভাবে বেড়ে চলছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী।
সর্বভারতীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন চিত্রাঙ্গদা। জানিয়েছেন দুটি ঘটনার কথা।
প্রথম ঘটনার ব্যাপারে এই বাঙালি অভিনেত্রী জানান, একবার এক ছবির জন্য তাঁকে মেল পাঠিয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু পরে একজন কো-অর্ডিনেটর বলেন, তিনি এই ছবির জন্য উপযুক্ত নন। তাঁকে অন্য কম বাজেটের ছবিতে সুযোগ করে দেওয়া হবে। চিত্রাঙ্গদা জানতে চান, যে প্রজেক্টের জন্য ডাকা হয়েছে সেই ছবিতে কেন তিনি কাজ করতে পারবেন না? তাঁর প্রোফাইল ঠিকঠাক বলেই তো তাঁকে ডাকা হয়েছে। তখন ওই কো অর্ডিনেটর তাঁকে জানান, আসলে বড় বাজেটের ছবি যাঁরা করেন, সেই ক্লায়েন্টরা আরও অন্য কিছু চান। অভিনেত্রীদের কখনও তাঁদের সঙ্গে থাকতে হয়। কো-অর্ডিনেটরের এমন ইঙ্গিতে তার মুখের উপর না বলা দেন চিত্রাঙ্গদা।
জবাবে কো-অর্ডিনেটরও জানিয়ে দেন, সেই কারণে তাঁকে ছোট বাজেটের ছবির দিকেই ঝুঁকতে হবে।
অপর ঘটনাটিও উল্লেখ করেছেন চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী। এক্ষেত্রে একই সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় একটি ছবি হওয়ার কথা ছিল। যথারীতি অডিশনের জন্য তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু আদতে দেখা গেল, অডিশন ছিল স্রেফ চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। অডিশনে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন, না আছে চিত্রনাট্য, না অন্য কিছু। তিনি চলে আসেন। পরে তাঁকে ফোন করে বলা হয়, অডিশনে তিনি পাস করেছেন। তিনি কি ছবিটি করতে রাজি হবেন? তখন ছবির নাম, চরিত্র ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক ডিটেলস জানতে চান চিত্রাঙ্গদা। কিন্তু সেসব না জানিয়ে তাঁকে বারবার বলা হয়, তিনি কি সহযোগিতা করবেন? অভিনেত্রীর বক্তব্য সম্ভবত ‘কমপ্রোমাইজ’ শব্দের বদলেই ‘কো-অপারেট’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। এরপর সরাসরি জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি পরিচালকের সঙ্গে রাত্রিবাস করতে পারবেন? এরপরই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে ফোন কেটে দেন চিত্রাঙ্গদা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন