কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক পেলেন হাফেজ মো. রশিদ আলম

Slider রংপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতি

10917893_1586310234843177_2785436532876773338_n

এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ শিক্ষা-সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক-২০১৭ পেলেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতিসন্তান হাফেজ মো. রশিদ আলম।

২২ অক্টোবর (রবিবার) ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি কনফারেন্স লাউঞ্জে কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৩ তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় হাফেজ মো. রশিদ আলমকে শিক্ষা-সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক-২০১৭ তুলে দেওয়া হয়।

বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আবু সাইদ খানের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ গাজী ম ম আমজাদ হোসেন, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্য সমালোচক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, কর কমিশনার মো. দবিরুদ্দিন, প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, হামদর্দের মোতাওয়াল্লি ও সিনিয়র পরিচালক মার্কেটিং হাকিম ড. রফিকুল ইসলাম, বরেণ্য লেখক ও সাংবাদিক ড. আব্দুল হাই সিদ্দিক সহ আরও অনেকে।

আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, প্রকাশক শেখ সাইদুর রহমান খান, মিসেস ফরিদুর রেজা সাগর, হাফেজ মো. রশিদ আলম, কবি শাহজাহান আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।

সভায় বহুসংখ্যক লেখক, কবি, আবৃত্তিকার স্বরচিত কবিতা ও লেখা পাঠ করেন। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের হাতে কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদক ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

হাফেজ মো. রশিদ আলম ইতিপূর্বে মহাত্মা গান্ধী স্বর্ণপদক-২০১৭, ঈশা খাঁ পদক, মাদার বখ্স পদক, মাতৃভাষা সম্মাননা পদক-২০১৬ এবং সরকারিভাবে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা অর্জন করেন। এবারে তিনি কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতিপদকে ভূষিত হলেন।

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি দিনাজপুর জিলা স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।

আশৈশব মেধাবি এ শিক্ষক বাংলাদেশ বেতার ও ইলেক্ট্রো মিডিয়ায় একজন আলোচক। সাদা মনের মানুষ জনাব মো. রশিদ আলম শিক্ষকতার পাশাপাশি শিক্ষা, সাহিত্য, স্বাস্থ্য ও সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িত। তিনি ঠাকুরগাঁও মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, হোমিও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, আলঝেইমার সোসাইটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, কওমী মাদরাসা, কেন্দ্রীয় মসজিদ, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ইমাম সমিতি, জাতীয় মুফাসসির পরিষদ, স্টুডেন্টস ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন সহ বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে লেখালেখি করেন। এ যাবত তাঁর বহু লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি একজন ভালো বক্তাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *