ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ বলেন, হেডম্যানপাড়ার একটি পাহাড়ের ঝুপড়িতে দুই সন্তান ও ভাতিজা জিয়াবুল হককে নিয়ে থাকতেন রোহিঙ্গা দেলোয়ারা বেগম (২৮)। দেলোয়ারার স্বামী শামসুল আলম থাকেন মালয়েশিয়ায়। দেলোয়ারার সঙ্গে স্থানীয় আবদুল জব্বারের সম্পর্ক নিয়ে ক্ষুব্ধ জিয়াবুল হক আজ ভোররাতে এ কাণ্ড ঘটান। জব্বারের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে লোহাগড়া এলাকায় জব্বারের মৃত্যু হয়।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে লিয়াকত আলী বলেন, পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পুলিশ দেলোয়ারা বেগম ও জিয়াবুল হককে আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানা উল্লাহ বলেন, দুই মাস আগে দেলোয়ারা বেগম নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশ পালিয়ে আসেন। এরপর তাঁরা আশ্রয় নেন উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে। দেড় মাস আগে সেখান থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেন হেডম্যানপাড়ার পাহাড়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দেলোয়ারার স্বামী শামসুল আলম মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। তাঁদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ফকিরাবাজার গ্রামে।