কক্সবাজারে যাওয়ার পথে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর ফেনী শহরে ঢোকার আগে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীরা’ বিএনপি নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীসহ অনেক গণমাধ্যমকর্মী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আহত হয়েছেন। এ হামলার গণতন্ত্রের সংকটকে আরও ঘনীভূত করল। শান্তি, সহাবস্থান, স্থিতি এবং পরমতসহিষ্ণুতার পরিবর্তে জুলুম সন্ত্রাসের নানা ‘ডাইমেনশনকে’ স্বীকৃতি দিল আজকের এই হামলা।
বিএনপির গাড়িবহরে হামলার চিত্র তুলে ধরে এই নেতা দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে গাড়িবহরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কুমিল্লার চান্দিনা এলাকার কুটুম্বপুর, নুর মানিকচর এবং বাগইর এলাকায় গাড়িবহরে হামলা করা হয়। ফেনীর বেকের বাজার, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী ‘সন্ত্রাসীরা’ সড়কে গাছ ফেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে বাধার সৃষ্টি করেছে। ফেনীর পাঁচগাছিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটায় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ছাড়া পুলিশ বিএনপির তিন নেতাকে আটক করেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের গাড়িতে হামলার বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফেনী শহরের ধর্মপাল এলাকায় ছাত্রলীগের ‘ক্যাডাররা’ চ্যানেল আই, ডিবিসি নিউজ ও ৭১ টেলিভিশনের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় চিকিৎসকদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সেলিম জাহিদ, ফটোসাংবাদিক আশরাফুল আলম, দ্য ডেইলি স্টার–এর মাসুম আল মোল্লাহ, যুগান্তর–এর হাবিবুর রহমান, বিডিনিউজের সুমন মাহমুদ, কালের কণ্ঠ–এর শফিক শাফি, এনটিভির হাসান মাহমুদ, একাত্তর টিভির শফিক আহমেদ, বৈশাখী টেলিভিশনের মোরশেদ, সাংবাদিক হাসান শিপলুসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বিএনপির কত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক হিসাব দিতে পারেননি রিজভী। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলে বিষয়টি বলা সম্ভব হবে। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত ‘সন্ত্রাসীদের’ চিহ্নিত করে বিচার দাবি করেন তিনি।