আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া গতকাল আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সম্পূর্ণভাবে একটা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন।
আদালতে কে কী বললেন, সেটা নিয়ে বাইরে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিন্তু রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে গিয়ে খালেদা জিয়া এমন সব বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। কারণ, তাঁর বক্তব্যের বেশির ভাগ অংশই হচ্ছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা এবং তাঁর ওপর শারীরিক, মানসিক নিপীড়ন, মামলা—এসব নিয়ে। তিনি একতরফা মিথ্যাচার করেছেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, তিনি কী করে বললেন শেখ হাসিনাকে কখনো আদালতে যেতে হয়নি। খালেদা জিয়ার আমলেও শেখ হাসিনাকে অনেকবার আদালতে যেতে হয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনাকেই প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁর বাসায় যেভাবে তল্লাশি চালানো হয়েছে, ড. ওয়াজেদ তখন অসুস্থ, তাঁর রুমে সিলিং ফ্যান পর্যন্ত তল্লাশি করা হয়েছে। সেটা এ দেশের মানুষ নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। রুমে রুমে তল্লাশি করা হয়েছে। এরপর তাঁকে যেভাবে অসম্মান, অপমানজনকভাবে আদালতে হাজির করা হয়েছে, সেটা বাংলাদেশের জনগণ দেখেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় টেলিভিশনে দেখলাম আদালতে বেগম জিয়া কান্নাকাটি করছেন। তিনি কাঁদছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি যে কাঁদলেন, বাংলাদেশের কত মানুষের জীবনে কান্নার নদী বইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হাজার হাজার নর-নারী, শিশু হত্যা তাঁর আমলে সংঘটিত হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের শত শত সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, ড্রাইভার থেকে শুরু করে স্কুলশিক্ষক, কনস্টেবলকে তিনি পুড়িয়ে মেরেছেন। আজকে তিনি আদালতে গিয়ে কান্নাকাটি করে জনগণের সহানুভূতি অর্জনের জন্য মায়াকান্না কাঁদছেন।
ব্রিফিংকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম প্রমুখ।