ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্য ও অর্জন অনেক। তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং সাহসী অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা যখন প্রশংসিত হচ্ছে তখনই কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে; যা দীর্ঘ সময়ের অর্জনকে ম্লান করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সর্বশেষ গত দুই দিনে চারটি ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কিছু সদস্যের নাম জড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিচ্ছিন্ন কিছু পুলিশ সদস্যের দায় পুরো পুলিশ প্রশাসন নিতে পারে না।
এর মাঝে কক্সবাজারে সেনা সদস্যদের হাতে ঘুষের ১৭ লাখ টাকাসহ আটক হয়েছেন পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) ছয় সদস্য। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রাস্তা থেকে গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে। তার বিষয়েও চলছে তদন্ত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির মতিঝিল ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সুশান্ত কুমার রাহুতের বিরুদ্ধে ফকিরাপুলের জি-নেট টাওয়ারের রিক্রুটিং অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ীরা ৪৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। রিক্রুটিং এজেন্সি ব্যবসায়ীদের ১২০০ পাসপোর্ট আটক করার পর ৪৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১১০০ পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে। গুরুতর এই অভিযোগ ওঠার পর তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রিনা চৌধুরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে সুভাষ চন্দ্র সাহাকে ফরিদপুর থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফেরত এনেছে পুলিশ সদর দফতর। পুলিশের এসব ঘটনা নিয়ে সাবেক দুজন আইজিপি এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক একজন সচিব মতামত ব্যক্ত করেছেন আমাদের কাছে। এসব ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।