ঢাকা জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা খালগুলোর ওপর নির্মাণ ও দখলের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব খাল বা জলাধারগুলো অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজা–উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। ২৪ অক্টোবর ‘ঢাকার খালে ২৪৮ দখলদার’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত দখল করা খালগুলো ব্যক্তি বা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা কেন হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি আসবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
‘রূপনগর খাল নিয়ে কুৎসিত কর্মকাণ্ড’ শিরোনাম একটি প্রতিবেদন আজ ছাপা হয়। এ প্রতিবেদন নজরে এলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। রূপনগর খালের জলসীমায় খালটির পানিনিষ্কাশন ব্যাহত করে এমন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে খালটির জলসীমা নির্ধারণ করে সব ধরনের উচ্ছেদ কার্যক্রমে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জেলা প্রশাসককে জানাতে বলে ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা উপস্থিত ছিলেন।