ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের তরুণ বয়সের একটি পিএইচিডি গবেষণা অনলাইনে প্রকাশের পরপরই হাজার হাজার লোক তাৎক্ষণিকভাবে সেটি ডাউনলোড করতে শুরু করে। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৬০ হাজারবার ডাউনলোড করা হয় সেটি।
আর এই চাপ সামলাতে না পেরে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ওয়েবসাইটে তা পোস্ট করা হয়েছে সেটি ক্র্যাশ করেছে।
মাত্র ২৪ বছর বয়সে ১৯৬৫ সালে Properties of Expanding Universes শিরোনামের এই গবেষণাপত্রটি লিখেছিলেন স্টিফেন হকিং। আর এর বদৌলতেই তিনি পদার্থবিজ্ঞানে আরো উচ্চতর গবেষণার জন্য স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। হাতে এবং টাইপরাইটারে লেখাটি লিখেছিলেন স্টিফেন হকিং। তার ওই গবেষণাটি এখন সকলের জন্য বিনামূল্যেই উম্মুক্ত করা হয়েছে।
এখন থেকে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পিএইচডি শিক্ষার্থীকেই তাদের গবেষণার একটি ইলেকট্রনিক কপি দিতে হবে অনলাইনে সংরক্ষণের জন্য। আর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকদেরকে তাদের গবেষণা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করতেও উৎসাহ দিবে।
যেমনটা স্টিফেন হকিং ও করেছেন। এক লিখিত বক্তব্যে স্টিফেন হকিং বলেন, আমি বিশ্বের সব মানুষকে আকাশের তারকারাজির দিকে তাকাতে উৎসাহিত করতে চাই, তাদের পায়ের দিকে নয়।
আর এর মধ্য দিয়ে তাদের ভেতরে আমি বিশ্বজগতে আমাদের অবস্থান এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বুঝ তৈরি করতে চাই।
‘আর আমি চাই, বিশ্বের সব মানুষের জন্য শুধু আমার গবেষণা কর্মই নয় বরং সকল মহান চিন্তাবিদদের গবেষণাই উম্মুক্ত করা হউক। ’
‘প্রতিটি প্রজন্মই তাদের আগের প্রজন্মের লোকদের কাঁধে দাড়িয়েই সামনে এগিয়ে যায়। ঠিক যেমনভাবে ক্যামব্রিজের একজন তরুণ পিএইচডি গবেষক হিসেবে আমি নিজেও আইজ্যাক নিউটন, জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল এবং আলবার্ট আইনস্টাইনের গবেষণাকর্মসমুহ দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিলাম। ’
‘আর একথা শুনে খুবই ভালো লাগছে যে, লোকে আমার গবেষণা পড়ার জন্য এত বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমি আশা করি তারা হতাশ হবেন না। ’
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট