যুক্তরাষ্ট্রের একটি সিনেমা হলে অ্যাটাক করেছে বাংলাদেশের ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’। বলিউড সুপারস্টার আমির খানের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’কে সরিয়ে নিউ ইয়র্কের একটি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে দীপংকর দীপন পরিচালিত ঢাকাই ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’।
বিশ্বের অন্যতম বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন ‘রিগ্যাল’-এর নিউ ইয়র্ক শাখা ‘কাফম্যান অ্যাস্টোরিয়া’তে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর প্রথম শো ছিল গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর)। প্রথম শো হাউজফুল হওয়ার পর হল কর্তৃপক্ষ শনিবার (২১ অক্টোবর) আমির খানের বহুল আলোচিত ‘সিক্রেট সুপারস্টার’কে অন্য একটি ছোট হলে স্থানান্তর করে সবচেয়ে বড় হলগুলোর একটিতে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চালানো হয়।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই শো-ও হাউজফুল হওয়ার সুবাদে হলো কর্তৃপক্ষ আরো চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা হলো রবিবার (২২ অক্টোবর) একটি শো বাড়িয়ে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর দুটি শো প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। একটি বিকাল ৩টায় ও আরেকটি রাত সাড়ে ৯টায়।
বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকাই ছবির বিশ্ব পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র প্রেসিডেন্ট ওয়ালিউল্লাহ সজীব সপ্তক। তিনি বলেন, ভয়ংকর ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এ বিপর্যস্ত ‘রিগ্যাল’ এর হিসাব নিকাশ। BANGLADESHI NEW YORKERS ARE MAKING HISTORY.
সজিব ফেসবুকে লিখেছেন, এখন যা বলব, তা এত তাড়াতাড়ি বলতে পারব ভাবতেও পারিনি কোনোদিন। কিন্তু ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর মতো গেম চেঞ্জার সিনেমা যেকোনো কিছু ঘটাতে সক্ষম।
তারই ফলশ্রুতিতে এমন অভাবনীয় ঘটনার অবতারণা। যে ‘রিগ্যাল’ ২ দিন আগেও কোনোরকমে ১টা শো দিয়ে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ শুরু করেছিল, তারা প্রথমদিনের ‘হাউজফুল’ অবস্থার পর শনিবারে ‘সিক্রেট সুপারস্টার’কে সরিয়ে (একটা ছোট হলে পাঠিয়ে দিয়ে) তাদের সবচেয়ে বড় হলগুলির একটাতে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চালিয়েছে। এবং সেটাও ‘হাউজফুল’, হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, সেটাও ‘হাউজফুল’ হওয়ার পর আগামীকাল (আজ) রবিবার ১টা শো বাড়িয়ে দিয়ে ২টা শো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আই রিপিট, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন, ‘রিগ্যাল’ তাদের সবচেয়ে ব্যস্ততম লোকেশনগুলোর একটি, নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত ‘কাফম্যান অ্যাস্টোরিয়া’তে আগামীকাল রবিবার একটি বাংলাদেশি সিনেমা, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর ১টা শো বাড়িয়ে দিয়ে ২টা শো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে (একটা বিকাল ৩টায়, আরেকটা যথারীতি সাড়ে ৯টায়)। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি কোনো সিনেমার ক্ষেত্রে এমন অকল্পনীয় ঘটনা প্রথম ঘটল।
তিনি বলেন, এক ‘আয়নাবাজি’ একলাফে বাংলাদেশের সিনেমাকে কানাডায় প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে, আর এখন এক ‘ঢাকা অ্যাটাক’ মাত্র ২ দিনেই, আমেরিকায় আমাদেরকে দিচ্ছে পায়ের তলায় খুব শক্ত মাটি। আমরা এগিয়ে যাবোই, বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্ববাজারে খুব তাড়াতাড়ি তার বিশাল জায়গা করে নেবেই।