প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী সোমবার ছাত্রদলের হরতাল

টপ নিউজ
image_156511.lilonরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক একে এম শফিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবিতে আগামী সোমবার নগরীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগরীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
নগরীর ভূবনমোহন পার্কে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদল নেতারা বলেন, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাড়ির সামনে ড. শফিউল ইসলাম নির্মমভাবে খুন হওয়ার পরে র‌্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছে, তাতে এই হত্যকাণ্ডটির মোটিভ উদ্ধার নিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এর ফলে প্রকৃত খুনিরা হয়তো আড়ালে থেকে যেতে পারে। এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধারসহ প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আগামী সোমবার সকাল-সন্ধ্যা নগরীতে হরতাল আহ্বান করা হয়েছে। এরপরও ড. শফিউল ইসলামের প্রকৃত খুনিদের চিহ্নত করতে ব্যর্থ হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের প্রতি হুশিয়ারি দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রদল নেতারা আরও বলেন, শিক্ষাঙ্গনে সরকার দলের সংগঠন ছাত্রলীগ অস্বন্তোষ সৃষ্টি করে চলেছে। সেই ছাত্রলীগেই আবার বিসিএস এর মতো একটি বড় ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী পরীক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যা অনভিপ্রেত। এতে করে সরকারি দপ্তরে শুধুমাত্র ছাত্রলীগের ক্যাডাররাই সুযোগ পাবে। বঞ্চিত হবে প্রকৃত মেধাবীরা।
আগামী সোমবারের হরতালের ছয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে অপর পাঁচটি দাবি হলো : সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা, বিসিএস ছাত্রলীগে ঘোষণা দিয়ে সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সকল সংগঠনের সহবস্থান নিশ্চিত করা এবং শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের পদত্যাগ।
প্রসঙ্গত, রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যাকাণ্ডের পেছনে পুলিশ প্রথমে দাবি করে জামায়াত-শিবিরসহ কোনো মৌলবাদি জঙ্গি সংগঠনের দ্বারা এ ঘটনা ঘটেছে। তবে র‌্যাব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিকসহ ছয়জনকে আটকের পর গত ২৩ নভেম্বর সংবদ সম্মেলন করে দাবি করে, রাবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সেকশন কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার রেশমার সঙ্গে ড.শফিউল অসাদাচারণ করেছিলেন বলেই তার স্বামী যুবদলের আরেক নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টু ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জলের সহযোগিতায় সবমিলিয়ে ১১ জন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল স্বীকারোক্তি দেয়। তবে গত মঙ্গলবার তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে হাজির করা হলে সকলেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে ড. শফিউলকে তার বাড়ির সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে তাকে খুন করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *