নিহত শিশুটি ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রাসেল (৯)। আটককৃত রাসিদা বেগম গাজীপুরের পুবাইল বড় কয়ের গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়দেবপুর এলাকার বাসিন্দা স্বামী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে প্রায় আট বছর আগে রাসেদার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁদের একমাত্র শিশু সন্তান রাসেলকে নিয়ে টঙ্গীর মরকুন পশ্চিমপাড়া টিটু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। গত দুই মাস ধরে কোনো কাজ না থাকায় সংসারের অভাব অনটনের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রাসিদা। গত দুই দিন ধরে নিজের ও সন্তানের জন্য খাবার জোগাড় করতে না পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাসিদা রাসেলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে রাখেন। পরে আজ শুক্রবার ভোরে ঘুমন্ত শিশু রাসেলের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রাসিদা। সন্তানকে হত্যা করে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের ডাকাডাকি করে সবাইকে তিনি জানান তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির মা রাসেদা বেগম ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে।
টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল হাসান বলেন, নিজের ছেলেকে হত্যার পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। ছেলেকে কীভাবে হত্যা করেছেন, তা তিনি বর্ণনা করেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।