মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় আরও এক রোহিঙ্গা পুরুষের লাশ ভেসে এসেছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট এলাকায় নাফ নদীতে ওই লাশ ভেসে আসে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করে দাফনের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া ভরাখালের মুখ (ভাঙ্গা) এলাকায় সোমবার ভোর চারটার দিকে নৌকাডুবি হয়। ওই ঘটনার পর অনেক রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ নিখোঁজ ছিলেন। নৌকাডুবির পর বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিয়ানমারের মংডুর শহরের দংখালী গ্রাম থেকে নৌকাটি ছেড়ে আসে। ওই নৌকায় ৬০-৬৫ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ জন শিশু। নৌকাডুবির পর বিভিন্নভাবে জীবিত বাঁচতে পেরেছে ২১ জন। তার মধ্যে শিশু সাতজন।
গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই ছোট-বড় ২৬টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৮৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। অন্যজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি। এদের মধ্যে ৯১টিই শিশু।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান বলেন, গত রোববারের নৌকাডুবির ঘটনায় শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট এলাকার নাফ নদী থেকে এক পুরুষের লাশ জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসে। পরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।