আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মামলা পক্ষে গেলে বিএনপি আদালতের প্রশংসা করে আর বিপক্ষে গেলে সরকারের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনে। বিএনপির এই দ্বিচারিতা পরিহার করা উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার বনানীর সেতু ভবনে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বিআরটি প্রকল্পের আওতায় উত্তরা হাউস বিল্ডিং থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে। প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি ২০২০ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যখন বিএনপি মনে করে যে এ রায়টা সরকারের বিরুদ্ধে গেছে, তখন তারা আনন্দে আটখানা। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তারা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে পড়ে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে রায় দিলে, আদালতের স্বাধীনতা নেই এবং সরকার হস্তক্ষেপ করছে—এসব অভিযোগ করে বিএনপি। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো রায় হলে তখন আদালতের স্বাধীনতা আছে—এই দ্বিচারিতা বিএনপির পরিহার করা উচিত।
গতকাল বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কর্মসূচিতে অনেক বেশি লোক হলেও তা ছিল সুশৃঙ্খল। তিনি বলেন, ‘গতকাল মনে হয়েছে যে এই পার্টিটাই এ রকম। এরা ক্ষমতায় গেলে কী করবে? আমরা ক্ষমতায় থেকে নেতা-কর্মীদের কন্ট্রোল করতে পারলাম। তারা বিরোধী দল, আগামীবার ক্ষমতায় যেতে চায়। যারা রাস্তা দখল করে জনগণকে কষ্ট দেয়, ক্ষমতায় গেলে তারা কী করবে? সেটা ভেবেই আমি শঙ্কিত হয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছে। এ লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনেরও বিপক্ষে নয় তারা। সেনা মোতায়েনের বিষয়টি কিছু গণমাধ্যমে ‘ভুলভাবে’ উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।