একই সঙ্গে সবজি ও ফলজাতীয় এই খাদ্যে আছে লাইকোপেন নামের একটি ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ যা আমাদের দেহেক নানাভাবে সহায়তা করে। টমেটো সবচেয়ে বেশি উপকারী এর অসাধারণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য।
চোখের জ্যোতি বাড়ানো, পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রক্তচাপ কমানোর জন্য বেশ কার্যকর টমেটো। এছাড়া ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ত্বকের সমস্যা এবং মূত্রাশয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে টমেটো।
সার্বিকভাবে দেহের নানা উপকার করে টমেটো। আসুন জেনে নেওয়া যাত যেসব কারণে প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় টমেটোকে যুক্ত করা জরুরি।
১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
টমেটোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ক্যান্সার প্রতিরোধে দেহকে ফ্রি র্যাডিকেলস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম করে তোলে। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার লাইকোপেন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
২. হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে
টমেটোতে আছে কোলিন, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ভিটামিন সি যা হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে সহায়ক। উচ্চহারে পটাশিয়াম থাকায় তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
টমেটোতে থাকা উচ্চমাত্রার খাদ্য আঁশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
খাদ্য আঁশ দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪. ত্বকের জন্য ভালো
টমোটোতে আছে ভিটামিন সি যা কোলাজেন সিনেথেসিস এর জন্য জরুরি। এটি ত্বককে দৃঢ় রাখতে সহায়ক, স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং ক্ষত সারিয়ে তোলে।
৫. অবসাদ কমায়
মানসিক চাপ বা অবসাদ কমানোটা টমেটোর একটি বড় উপকারীতা। টমেটোতে থাকা ফোলেট অবসাদ কমাতে সহায়তা করে অতিরিক্ত হোমোসায়াস্টিন প্রতিরোধ করে।
৬. চোখের দৃষ্টি উন্নত করে
টমেটোতে আছে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ যা চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে সহায়ক। এছাড়া এটি রেটিনার কার্যক্রমেও সহায়ক।
৭. হজম ক্ষমতা বাড়ায়
হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রেখে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া দেহে থেকে বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণেও সহায়ক টমেটো।
৮. প্রদাহরোধী
প্রতিদিন এক গ্লাস করে টমেটো জুস খেলে দেহে প্রদাহ হয় না। এটি কার্যকরভাবে প্রদাহ দূর করে আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টে ব্যাথা সৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।
৯. মূত্রাশয়ের সংক্রমণ রোধ করে
টমেটোতে উচ্চহারে জলীয় উপাদান থাকে যা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
১০. রক্তের ঘনীভবন ঠেকায়
রক্তের ঘনীভবন ঠেকাতে প্রতিদিন নিম্ন সোডিয়াম উপাদানযুক্ত টমেটো জুস পান করুন প্রতিদিন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই