ভারতের হরিয়ানার আঞ্চলিক গানের শিল্পী হার্ষিতা দাহিয়া গতকাল মঙ্গলবার খুন হয়েছেন। ২২ বছর বয়সী এই গায়িকা হরিয়ানার পানিপত গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে যান। সেখান থেকে দিল্লিতে নিজের বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন লোক তাঁর গাড়ির গতি রোধ করে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। হরিয়ানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলেই হার্ষিতার মৃত্যু হয়।
গাড়িতে হার্ষিতার দুই সহশিল্পী ও চালকও ছিলেন। দুর্বৃত্তরা একটি কালো গাড়িতে চড়ে তাঁদের অনুসরণ করছিল বলে জানা যায়। একসময় তারা হার্ষিতার গাড়ির সামনে গিয়ে গাড়ি গতি রোধ করে। গাড়ি থেকে নেমেই চিৎকার করতে থাকে তারা। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ির চালক ও হার্ষিতার দুই সহশিল্পীকে গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য করে। এরপরই শুরু হয় গায়িকার ওপর গুলিবর্ষণ। পুলিশ জানায়, তারা হার্ষিতার গলায় ও ঘাড়ে সাত থেকে আটটি গুলি করে পালিয়ে যায়।
কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন হার্ষিতা। হরিয়ানার আঞ্চলিক গানের জন্য ভীষণ জনপ্রিয় এই শিল্পী সেখানে বলেছিলেন, তাঁকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘যা খুশি করো। আমি মরতে ভয় পাই না।’
ভিডিওটি প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই খুন হলেন তিনি। এদিকে এই শিল্পীর বড় বোন লতার দাবি, তাঁর স্বামী দীনেশ হার্ষিতা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালে ভগ্নিপতি দীনেশের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণ ও তাঁর মাকে হত্যার অভিযোগ করেছিলেন হার্ষিতা। লতা বলেন, ‘দীনেশ একজন সন্ত্রাসী। তিনিই হার্ষিতাকে খুন করিয়েছেন। কারণ, আমার বোন আমাদের মায়ের হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল।’
হত্যা মামলার আসামি দীনেশ বর্তমানে দিল্লির তিহার জেলে আছেন। হরিয়ানার মেয়ে হার্ষিতা তিন বছর ধরে দিল্লিতে থাকছিলেন। হরিয়ানি রাগিণী গান ও নাচের জন্য এই শিল্পী বেশি পরিচিত ছিলেন। এনডি টিভি