ষ্টাফ করেসপনডন্টে
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
ঢাকা: জামায়াতের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করা করা যায় না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি।
বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্টে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
গত ২৭ মার্চ দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও প্রসিকিউশন এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আদালতে দাখিল করতে পারেননি। এর মধ্যেই এমন মন্তব্য করলেন আইনমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে ইউএনডিপি’র আয়োজনে এক সেমিনারে সম্মনিত অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাতে কয়েকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ে একটি মামলা আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এ অবস্থায় জামায়াতের বিষয় নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলার বিচার চললে পরিস্থিতি কি হবে তার বিবেচনা করতে হবে। কারণ, একইসঙ্গে দুটি মামলার বিচার চলতে পারে কি না সেটি বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিচারে শাস্তি কি হবে এবং শাস্তি কে ভোগ করবে বিষয়টি ভাবতে হবে। ট্রাইব্যুনাল আইনে কোনো সংগঠনের বিচার বা শাস্তির বিধান নাই। আমাদের প্রচলতি আইনে (কোম্পানি আইন) সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শাস্তি হলে শাস্তি ভোগ করতে পরিচালনা পর্ষদদের। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের সাজা ভোগ করবেন তাদের নেতারা। ইতোমধ্যে এসব নেতাদের অনেকের বিচার হয়েছে। সুতরাং একই ব্যক্তির দুইবার বিচার কিভাবে করা যায়।
জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার সাত মাস পর তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেন তদন্ত সংস্থা।
জামায়াত এবং তাদের অঙ্গসংগঠন, আলবদর, আলশামসের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর আলোকে তৈরি এ তদন্ত প্রতিবেদনে জামায়াত ও তার সব অঙ্গসংগঠন নিষিদ্ধ ও অবলুপ্ত করার আরজি জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াত, তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা দিতে গঠিত শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী এবং জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৪ এর ১ ও ৪ এর ২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছে।
জামায়াতসহ এসব সংগঠনের নীতিনির্ধারক, সংগঠক, পরিচালক এবং কেন্দ্র থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে এসব অপরাধের জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।