ঢাকার আশুলিয়ায় উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে গত মঙ্গলবার এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ রোববার মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দুই বখাটেকে আসামি করে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেছেন।
মেয়েটির নাম শীলা আক্তার (১৪)। সে শিমুলিয়া ইউনিয়নের কালেশ্বরী গ্রামের আওলাদ হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় শ্যামা প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল শীলা। তাঁর আত্মহত্যার ঘটনায় বাবা আওলাদ হোসেন গত শুক্রবার আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় শিমুলিয়ার বড়নগর গ্রামের বখাটে খোকন ও পাশের ভট্টাচার্য্যপাড়ার জাফর আলীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, খোকন ও জাফর আলী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে শীলাকে উত্ত্যক্ত করত। একাধিকবার বিষয়টি ওই বখাটেদের অভিভাবকদের জানানোর পরেও তারা শোনেনি। গত মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে খোকন ও জাফর শীলার পথরোধ করে দাঁড়ায়। একপর্যায়ে লোকজনের সামনেই তারা শীলার জামাকাপড় ও স্কুলব্যাগ ধরে টানাটানি করে। এ ঘটনার পর শীলা বাড়ি ফিরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
আজকের মানববন্ধনে শীলার স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী ও এক হাজারে বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। আওলাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, লোকজনের সামনে উত্ত্যক্ত করায় তাঁর মেয়ে ক্ষোভে ও লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, উত্ত্যক্ত করার কারণেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।