আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনে ২০ দফা লিখিত প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বিএনপি। আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দলটির সংলাপে এ প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনের সাত দিন আগে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে আসার পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রস্তাবনা রয়েছে এতে।
সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি- নির্বাচন যাতে প্রহসনমূলক না হয় সেটা তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আমরা যে প্রস্তাবনা দিয়েছি এর মধ্যে রয়েছে- এখন থেকে সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের সমান সুযোগ ইসিকে নিশ্চিত করতে হবে। ইভিএম’র কোনো ধরনের ব্যবহার চলবে না। প্রশাসনকে দলীয়করণ মুক্ত ও চুক্তিভিত্তিক সব ধরনের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্বাচনের আগে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। ফখরুল বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) আমাদের কথা মনযোগসহকারে শুনেছেন। তারা বলেছেন, আপনারদের (বিএনপির) প্রস্তাবনা আমাদের খুব উপকারে আসবে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। তারা হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্ররায়, তরিকুল ইসলাম, লে.জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাবেক সচিব আবদুল হালিম, ক্যাপ্টেন সুজাউদ্দিন, সাবেক শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নানা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রােজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।