লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে অর্নাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপ। আজ রোববার সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
এতে নিজেদের পিট বাচাতে দিকবিদিক ছুটতে থাকে বরণ অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় রকমের কোন সংঘর্ষে রুপ নেয়নি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। ঘন্টাখানেক পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও কলেজ ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল হুদা এ প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ছিল আজ (রোববার)। এটা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আগেই থেকে উত্তেজনা চলছিল। ফলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তিনি বলেন, ওরিয়েন্টশন শুরুর আগেই ছাত্রদের দু‘গ্রুপে লাঠি সোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ তাদের তাড়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দু:খজনক হচ্ছে নতুন শিক্ষার্থীদের অনেকেও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, সংঘাতে জড়িতদের এক পক্ষ স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারী। আরেকপক্ষ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারী। যারা টিনুর অনুসারীদের বহিরাগত বলে ধাওয়া শুরু করে।
নুর মোস্তফা টিনুর অনুসারী শিক্ষার্থী সাফায়াত উল্লাহ বলেন, নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ক্যা¤পাসে ব্যানার লাগানোর সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের শিক্ষার্থীরা হামলা করে। এতে সংঘাত সৃষ্টি হয়।
মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারী শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা টিনুর অনুসারীরা বহিরাগত। ক্যাম্পাসে প্রবেশের অধিকার তাদের নেই। কিন্তু এরপরও তারা জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত। এ থেকে মূলত সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বার বার।
প্রসঙ্গত, দু‘বছর আগে চট্টগ্রাম কলেজ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে তাড়াতে সক্ষম হয় ছাত্রলীগ। এরপর ছাত্রলীগ স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগে বিভক্ত হয় বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এ দু‘গ্রুপের মধ্যে প্রায় সংঘাত-সংঘর্ষ হয় চট্টগ্রাম কলেজে।