কক্সবাজারের টেকনাফে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে জোয়ারের সঙ্গে আরও তিন রোহিঙ্গা নারীর লাশ ভেসে এসেছে। লাশ তিনটি আজ রোববার সকালে দাফন করা হয়েছে।
৮ অক্টোবর রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৭টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি শিশু, ১৭ জন নারী ও চারজন পুরুষ।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুদ্দিন খান বলেন, নৌকাডুবির পর থেকে টেকনাফের কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রাতেও সাবরাংয়ের খুরেরমুখ এলাকায় জোয়ারের সঙ্গে ভেসে আসে অর্ধগলিত তিন নারীর লাশ। তাঁদের বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হতে পারে।
ওসি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাইক্ষংদিয়া এলাকা থেকে গত রোববার সন্ধ্যায় ইঞ্জিনচালিত নৌকার করে ৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গা টেকনাফে আসছিলেন। সেদিন রাতে নৌকাটি শাহপরীর দ্বীপের কুলারচর এলাকার নাফ নদী ও সাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
এ নিয়ে গত ২৯ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ২৫টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭০ জন রোহিঙ্গা। অন্যজন বাংলাদেশি মাঝি। রোহিঙ্গাদের লাশের মধ্যে ৮৫টি শিশু, ৫৬ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষ।