একই গ্রামের আটজন শ্রমিক রাজশাহী নগরের সপুরা এলাকায় ‘টিম’ নামের একটি ওষুধের কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবার তাঁরা কারখানায় কাজে যান। কারখানায় একটি ড্রামে থাকা তরলকে ‘ঝোলা গুড়’ ভেবে তা দিয়ে রুটি খান সবাই।
খেতে ভালো লাগায় একজন ওই তরল একটি বোতলে ভরে গ্রামে নিয়ে যান। রাতে তিনি তাঁর আরও দুই বন্ধুকে সেটি খাওয়ান। বুধবার রাত থেকে তাঁরা একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
ঝোলা গুড় ভেবে খাওয়া ওই তরল কারখানার কোনো রাসায়নিক পদার্থ বলে ধারণা করা হচ্ছে। অসুস্থ আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সবার বাড়ি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে।
মৃত দুই ব্যক্তিরা হলেন তোফিজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৩৮) ও ইউসুফ আলীর ছেলে তোহিদুল ইসলাম (২৫)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁদের মৃত্যু হয়।
গোদাগাড়ী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, ওই আট শ্রমিক রাজশাহী নগরের সপুরা এলাকায় ‘টিম’ নামের একটি ওষুধের কারখানায় কাজ করেন। মঙ্গলবার তাঁরা কাজে গিয়ে সেখানে একটি ড্রামে থাকা রাসায়নিককে ঝোলা গুড় ভেবে তা দিয়ে রুটি খান।
রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রামের আটজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে তিনি চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামে যান। সেখান থেকে তিনি একটি বোতল জব্দ করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। গন্ধ শুঁকে তাঁর কাছে মনে হয়েছে, ওই বোতলে স্পিরিট-জাতীয় কিছু ছিল।
ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, ওই রাসায়নিকটি আসলে কী তা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন। ওসি আরও জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মৃত দুই ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। আর এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।