এম এ কাহার বকুল:
লালমনিরহাট প্রতিনিধি;
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়িতে ২দিন যাবত অনশন করছেন শাহানাজ (২২) নামের এক গার্মেন্টস কর্মী। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলের পরিবার ছেলে নুরনবীকে (২০) অন্যত্র সরিয়ে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাঠ গ্রামে।
আজ ৪ অক্টোবর সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আদিতমারী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে চন্দনপাঠ গ্রামে ঐ গ্রামের তারু মিয়ার (তারু মুন্সী) বাড়িতে তার ছোট ছেলে নুরনবীকে বিয়ের দাবীতে গত ২ দিন যাবত অনশন করে আসছেন ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টস কর্মী শাহানাজ বেগম (২২)। শাহানাজ পার্শ্ববতী কালীগঞ্জ উপজেলার নিথক অচিনতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
অনশনরত অবস্থায় ছেলের বাড়িতে শাহানাজের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, প্রায় এক বছর যাবত নুরনবীর সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে নুরনবী ঢাকায় ছুটে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ভাড়া বাসায় তার সাথে দৈনিক সর্ম্পক গড়ে তুলে। সেখানে এক সপ্তাহের বেশী সময় অতিবাহিত করেন নুরনবী।
এদিকে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তোলার পর থেকে নুরনবী তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়তে হয় তাকে। এরপর গার্মেন্টস ছেড়ে প্রেমের টানে ছুটে আসেন ছেলের বাড়িতে। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ২ দিন যাবত বিয়ের দাবীতে অনশন করছি কিন্তু ছেলের পরিবার ছেলেকে কৌশলে অন্যত্র পালিয়ে দিয়েছে। হয় বিয়ে দিবেন নয়তো আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিতে হবে আমাকে (শাহানাজ) এমনটাই দাবী তার।
ছেলের বাবা তারু মুন্সী জানান, বিয়ের দাবীতে যেহেতু মেয়েটি অনশন করছে, তাই এলাকাবাসী বসে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।
একই এলাকার ব্যবসায়ী আক্কাস মিয়া জানান, বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি এ নিয়ে সংবাদ না করার অনুরোধ করেন।
কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল জানান, ছেলের পরিবারে পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন কি অবস্থা তা তিনি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।