কক্সবাজারের টেকনাফসংলগ্ন সাগরে রোববার রাতে রোহিঙ্গাবাহী আরও একটি নৌকা ডুবেছে। এ ঘটনায় রাত ১১টা পর্যন্ত আটজনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন বিজিবির সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের দাবি, নিখোঁজ রয়েছেন ৩২ জন।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের পাশের উপজেলা উখিয়ার ইনানী সৈকতের কাছে সাগরে রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ জন মারা যান।
টেকনাফ উপজেলায় সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকায় উত্তাল সাগরে প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায় বলে জানান সাঁতরে তীরে উঠে আসা রোহিঙ্গা মোহাম্মদ জাফর আলম। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে তাঁরা প্রায় ৪০ জন নৌকায় করে টেকনাফে আসছিলেন। তাঁর মা আয়েশা খাতুন, স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তিনি তীরে উঠে আসতে পারলেও তাঁর দুই শিশুসন্তান এবং দুই বোন নিখোঁজ রয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম রাতে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় শিশু, নারী, পুরুষসহ আটজনকে বিজিবির টহল দল উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা ৩০-৩২ জনের মতো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি লোক ওঠায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৯ আগস্ট থেকে গতকাল (৮ অক্টোবর) রাত নয়টা পর্যন্ত নাফ নদী এবং সাগরে রোহিঙ্গাবাহী মোট ২৫টি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৩২ জনই রোহিঙ্গা। বাকি একজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি।