অপহরণের এক মাস পর বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সান্টু সরদার ওরফে কালাম নামের এক ‘অপহরণকারীকে’ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সান্টুর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, সান্টু প্রতারণার মাধ্যমে কিশোরীসহ অন্তত ৩৩ জন নারীকে বিয়ে করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। ছাত্রীর শরীরে নির্যাতন ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হবে। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সান্টু স্বীকার করেছেন তিনি কিশোরীসহ ৩৩ নারীকে বিয়ে করেছেন। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
থানা-পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার একটি গ্রামের কিশোরী (১৫) আগৈলঝাড়া উপজেলায় মামার বাড়ি থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ বাগধা গ্রামের সান্টুর (৪২) নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতে সান্টুসহ পাঁচজনকে আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় অপহরণ মামলা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া থানা-পুলিশ গত শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার কুড়িল এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণকারী সান্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে গত শনিবার আগৈলঝাড়া থানায় আনা হয়।
ওই ছাত্রীর বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানিয়েছে, মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে সান্টু ওই ছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পয়সারহাট এলাকার পৌঁছালে সহযোগীদের নিয়ে সান্টু ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করেন। পরে ঢাকার কুড়িল এলাকার ঝিলের কাছের একটি ঘরে আটকে রাখেন। এ সময় তিনি তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন।