দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি, দেশের কোনো ভালো খবর শুনলে মন টগবগ করে। দীপংকর দীপনের ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যে ভীষণ খুশি।
মেইনস্ট্রিম ম্যাটারিয়াল বানানোর জন্য আমাদের স্মার্ট পরিচালকদের দরকার। না হলে মেইনস্ট্রিম ম্যাটেরিয়ালের নামে শুধু তামিল তেলেগু কপি চলবে। এবং বাতাসের অবস্থা দেখে যা বুঝতে পারছি, কাজটা সে যথাযথই করেছে। থ্রি চিয়ার্স টু ভ্রাতা দীপংকর দীপন।যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে যেহেতু মেইনস্ট্রিমের বাইরে শিল্পীর ব্যক্তিগত ঢংয়ের সিনেমায় বিশ্বাস করি, সেহেতু আমি সব সময়ই চাই আমাদের মেধাবী পরিচালকরা অঁতর সিনেমায় যুক্ত থাকুক বেশী বেশী। তা না হলে বাংলাদেশি নিউ ওয়েভ কেবল একটা সম্ভাবনা হিসেবেই থেকে যাবে। কারণ আমাদের এখানে একটা বিশাল শিক্ষিত দর্শক শ্রেণী গড়ে উঠেছে, যারা ওয়ার্ল্ড সিনেমার চলন সম্পর্কে পুরাপুরি ওয়াকেবহাল। এদের সংখ্যা কিন্তু বিশাল। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে আমরা দেখবো যে, অঁতর সিনেমা উপভোগ করার জন্য আমাদের মতো এতো বিশাল শিক্ষিত দর্শক শ্রেণি সেখানে নাই। এঁরাই আমাদের বিশাল সম্পদ, এঁরাই আমার মতো সাধারণ এক মানুষকে ভালোবেসে “তথাকথিত সেলেব্রিটি” বানিয়েছে।
কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি, মেইনস্ট্রিম ম্যাটেরিয়েল সার্ভ করার জন্য আমাদের স্মার্ট পরিচালক দরকার। না হলে এই বিশাল জায়গাটা বেহাত হয়ে যাবে। সেই দিক থেকে দীপংকর দীপনের ছবির সাফল্য আমাদের ভীষণ আশাবাদী করে।
যদিও আমি খুব ভালো করেই জানি দীপংকর দীপন কেবল আপনাদের মেইনস্ট্রিম ম্যাটিরিয়াল দেয়ার ক্ষমতা রাখে তা না, সে আমাদের অঁতর সিনেমার পালে হাওয়া লাগানোর ক্ষমতাও রাখেন। এবং কোনো এক অবসরে সে সেটা করবেও।
লাভ ইউ, ব্রাদার।
(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)