ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত কার্যালয় সরাতে আরও সাত মাস সময় পেল পোশাকশিল্প প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। ভবনটি ভাঙাসহ এ বিষয়ে আদালতের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিজিএমইএর সভাপতির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, এটিই শেষ সুযোগ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ সাত মাস গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর কৌঁসুলি আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে ওই ভবনকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। (http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1017031/) এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন বিজিএমইএর সভাপতি। এই লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন।
এ আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা গত ৫ মার্চ খারিজ হয়। পাশাপাশি কার্যালয় সরাতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে বিজিএমইএর আইনজীবীকে আবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ। যার শুনানি নিয়ে ১২ মার্চ আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দেন। এ সময়সীমা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আগে ২৩ আগস্ট বিজিএমইএ সভাপতি আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে এক বছরের সময় চেয়ে আবেদন করেন। ১১ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, সঙ্গে ছিলে আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।