এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন আইক্যান। তাদের এ প্রাপ্তিতে অংশীদার হয়েছে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান। এর একটি চিকিৎসকদের সংগঠন পিএসআরবি। অন্যটি বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (সিবিএস)। নোবেল শান্তি পুরস্কারের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রাপ্তিতে সংগঠন দুটির কাজ সামনে আরো বেগবান হবে বলে মনে করছেন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রাপ্তির বিষয়ে ফিজিশিয়ানস ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বাংলাদেশ (পিএসআরবি)’র প্রেসিডেন্ট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গৌরবময় অংশীদার হতে পেরে আমরাও উৎসাহবোধ করছি। আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ আমাদের শান্তির আন্দোলনে আরো বেশি যুক্ত হবেন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে পিএসআরবি। আইক্যান বিশ্বজুড়ে ১০১টি দেশের ৪৬৮টি অংশীদারের সঙ্গে একত্রে কাজ করে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় পিএসআরবি’র প্রেসিডেন্ট ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তির আন্দোলনের জন্য আইক্যানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। আমরা আইক্যান-এর পার্টনার। তিনি বলেন, আমরা ’৯০ সাল থেকে কাজ করছি। আমাদের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এক বিপুল উৎসাহ। এতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে অন্যদেরকেও কাজ করতে উৎসাহিত করবে। এতে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। এতে মানুষ শান্তির আন্দোলনে আরো বেশি বেশি যুক্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মানুষ আশার আলো দেখতে পাবেন বলে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যুুদ্ধের হুমকিতে রয়েছে। আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার একে অপরকে হুমকি দিচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যেও অশান্তি রয়েছে। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের মতো ভয়াবহ অবস্থা ও উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি বলেন, আমরা চাই অস্ত্রমুক্ত এক শান্তিময় বিশ্ব। প্রসঙ্গত, আইক্যান বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশের বেসরকারি সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের একটি জোট বলে নিজেদের বর্ণনা করেছে। তাদের যাত্রা শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৭ সালে ভিয়েনা থেকে তাদের পথচলা শুরু।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান নোবেল বিজয়ী পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ বিষয়ক চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ান্স ফর দি প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার (আইপিপিএনডব্লিউ)-এর সহ-সভাপতিও। গত ৬ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আইপিপিএনডব্লিউ-এর সম্মেলনের বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় পারমাণিক যুদ্ধসহ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্বের ৬৪টি দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের প্রিয় সংগঠন আইপিপিএনডব্লিউ উপযোগিতা ও গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৩ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। আইপিপিএনডব্লিউ-এর বাংলাদেশের অঙ্গসংগঠন হচ্ছে পিএসআর বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত। পিএসআর বাংলাদেশ খাদ্যে ভেজাল, ছোট অস্ত্র ব্যবহার রোধ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের মতো বিষয়ে জনমত গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে আইকান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পাওয়ার পর সিবিএস-এর সামাজিক পেজগুলোতে অভিনন্দন বার্তার বন্যা ডেকেছে। মানুষ তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে আইক্যানের সঙ্গে জড়িত থাকায় এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতায় অংশীদার হওয়ার জন্য। সিবিএসের জেনারেল সেক্রেটারি অরূপ রাহী বলেছেন, তার সংগঠন সব সময়ই শান্তির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করার। তিনি বলেন, সব রকম পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধী সিবিএস। পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারকে। উল্লেখ্য, এ পুরস্কারের অন্যতম অংশীদার সিবিএস একটি বাংলাদেশি অলাভজনক এনজিও। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, পরামর্শ ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকে। ২০১৩ সালে এটি গঠিত হয়। এর পরের বছরই তারা আইকানের সদস্য হয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করে। সেমিনার আয়োজন করে। বই ও জার্নাল প্রকাশ করে। আইকানের সমর্থন নিয়ে তারা বাংলায় একটি বই প্রকাশ করেছে। এর নাম ‘কেন পারমাণবিক অস্ত্র এখনই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত’। এটি প্রকাশ হয় ২০১৪ সালে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান নোবেল বিজয়ী পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ বিষয়ক চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ান্স ফর দি প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার (আইপিপিএনডব্লিউ)-এর সহ-সভাপতিও। গত ৬ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আইপিপিএনডব্লিউ-এর সম্মেলনের বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় পারমাণিক যুদ্ধসহ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্বের ৬৪টি দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের প্রিয় সংগঠন আইপিপিএনডব্লিউ উপযোগিতা ও গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৩ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। আইপিপিএনডব্লিউ-এর বাংলাদেশের অঙ্গসংগঠন হচ্ছে পিএসআর বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত। পিএসআর বাংলাদেশ খাদ্যে ভেজাল, ছোট অস্ত্র ব্যবহার রোধ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের মতো বিষয়ে জনমত গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে আইকান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পাওয়ার পর সিবিএস-এর সামাজিক পেজগুলোতে অভিনন্দন বার্তার বন্যা ডেকেছে। মানুষ তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে আইক্যানের সঙ্গে জড়িত থাকায় এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতায় অংশীদার হওয়ার জন্য। সিবিএসের জেনারেল সেক্রেটারি অরূপ রাহী বলেছেন, তার সংগঠন সব সময়ই শান্তির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করার। তিনি বলেন, সব রকম পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধী সিবিএস। পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারকে। উল্লেখ্য, এ পুরস্কারের অন্যতম অংশীদার সিবিএস একটি বাংলাদেশি অলাভজনক এনজিও। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, পরামর্শ ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকে। ২০১৩ সালে এটি গঠিত হয়। এর পরের বছরই তারা আইকানের সদস্য হয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করে। সেমিনার আয়োজন করে। বই ও জার্নাল প্রকাশ করে। আইকানের সমর্থন নিয়ে তারা বাংলায় একটি বই প্রকাশ করেছে। এর নাম ‘কেন পারমাণবিক অস্ত্র এখনই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত’। এটি প্রকাশ হয় ২০১৪ সালে।