ম্যালেরিয়ার জীবাণু চার ধরনের। এর মধ্যে সুপার ম্যালেরিয়া সাধারণত প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরামের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ওষুধ তেমন কার্যকর নয়, তাই প্রতিরোধই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো পন্থা।
পাহাড়ে, সৈকতে সময় কাটানোর আগে ত্বকে ভালো করে মশা তাড়ানো লোশন বা তেল মেখে নেওয়া উচিত। মনে রাখবেন এটি সারা দিন স্থায়ী কাজ দেবে না, তাই কিছুক্ষণ পরপর আবার লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডাইইথাইল টলুমাইড সবচেয়ে ভালো। এটি স্প্রে, লোশন বা ক্রিম বা রোল অন স্টিক হিসেবে এখন বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। বদ্ধ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে মশার স্প্রে ছিটিয়ে ঘুমাতে পারেন, কিন্তু আবদ্ধ ঘর না হলে অবশ্যই মশারি চেয়ে নেবেন। মশা তাড়ানোর ওষুধ মিশ্রিত মশারিও পাওয়া যায়। পাহাড়ি এলাকায় সন্ধ্যার পর অনাবৃত হাত-পা নিয়ে হাঁটাহাঁটি করবেন না। লম্বা হাতার প্যান্ট ও জামা পরা উচিত। এমনকি ঘুমানোর সময়ও। সাদা বা হালকা রঙের জামা পরবেন।
◊ জ্বর হলে সম্প্রতি কোথায় কোথায় ভ্রমণ করেছেন তা অবশ্যই চিকিৎসককে অবহিত করুন। প্রচণ্ড জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া, জ্বরের সঙ্গে বমি ও মাথা ব্যথা, জ্বরের ঘোরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা—এ ধরনের উপসর্গ থাকলে ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনার কথা ভাবতে হবে।
◊ ভ্রমণে যাওয়ার আগে প্রতিরোধী ওষুধ খাবেন কি না চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন। পাহাড়ি এলাকায় যাওয়ার আগে ও ফিরে আসার পর এসব ওষুধ খেতে দেওয়া হয়। তবে এটা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে শতভাগ কার্যকর নয়। তাই মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করাই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
◊ দ্রুত রোগ নির্ণয় করা গেলে ও যথাসম্ভব দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হলে জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয়। তাই জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে প্যারাসিটামল খেয়ে দমিয়ে না রেখে রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। সাধারণ ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সেরে যায়। এর বেশি সময় ধরে যেকোনো জ্বরের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।