দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে সরকারি চাকরি করে আসছেন মো. শহিদ উল্লাহ। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টারের (ব্যান্সডক) প্রশাসন শাখার কর্মচারী। কিন্তু প্রশাসনিক দায়িত্ব থাকলেও নিজ কর্মস্থলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফাইল আটকে রাখতেন, কখনোবা বেতন কাটার ভয় দেখাতেন। তবে ঘুষ পেলেই ফাইল ছাড়তেন শহিদ উল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় শহিদ উল্লাহকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ব্যান্সডকের চারতলা থেকে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এর দলনেতা মো. নূর-ই আলমের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, বেতন কাটার ভয় দেখিয়ে ব্যান্সডকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. রফিকুল ইসলাম, মালি হালিমা বেগম, ডিএম রওশন আরা ও জ্যেষ্ঠ রেকর্ডকিপার মঙ্গল মিয়ার কাছে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন শহিদ উল্লাহ। বিষয়টি তাঁরা ব্যান্সডকের কর্মকর্তা সায়েম খানকে জানান। সায়েম খান ঘটনাটি দুদকের হটলাইনে মাধ্যমে অভিযোগ করেন। আইনি সব প্রক্রিয়া শেষে শহিদ উল্লাহকে গ্রেপ্তারের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। দুদকের দলটি আজ সকাল থেকে ব্যান্সডকের চতুর্থ তলায় ওত পেতে থাকে। আজ ২০ হাজার টাকা নেওয়া কথা ছিল শহিদ উল্লাহর। বাকি ২০ হাজার টাকা কাজ শেষে দেওয়া হবে তাঁকে। তবে সায়েম খানের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহিদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন।