যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের বন্দুকধারী স্টিফেন প্যাডকের বান্ধবী বলে ধারণা করা নারী মারিল্যু ড্যানলি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। পুলিশ তাঁকে জেরার জন্য খুঁজছিল। বিবিসি অনলাইনের খবরে আজ বুধবার এ কথা বলা হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ফিলিপাইন থেকে মারিল্যু লস অ্যাঞ্জেলসে পৌঁছালে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁকে তদন্তের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
গত রোববার লাস ভেগাসে এক উন্মুক্ত কনসার্টে গুলি ছুড়ে প্যাডক ৫৮ জনকে হত্যা করেন। আহত হন পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। মান্দালাই বে হোটেলে নিজের কক্ষ থেকে তিনি সংগীত উৎসবে অংশ নেওয়া মানুষদের ওপর গুলি ছোড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন।
কে এই মারিল্যু ড্যানলি?
*বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
*১৯৮০ সালে তিনি এক অস্ট্রেলীয়কে বিয়ে করেন। পরের ১০ বছর কুইন্সল্যান্ডে ছিলেন।
*স্বামী গিয়ারি ড্যানলির সঙ্গে পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
*একটি ক্যাসিনোতে কাজ করতেন। ধারণা করা হয়, সেখানেই প্যাডকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়।
*মার্কিন পুলিশ বলছে, মারিল্যু নেভাদাতে প্যাডকের সঙ্গে বাস করতেন।
সূত্র: অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন
পুলিশের কাছে প্যাডকের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো রেকর্ড নেই, যা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে এ ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
মার্কিন পুলিশ বলছে, বন্দুক হামলার পরই তারা মারিল্যুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা প্যাডক সম্পর্কে তথ্য খুঁজছিল। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম বলছে, মারিল্যু সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে ফিলিপাইনে ছিলেন।
প্যাডক মান্দালাই বে হোটেলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওঠেন। সেখানে বিভিন্ন কাগজপত্রে তিনি মারিল্যু ড্যানলির পরিচয় ব্যবহার করেন। বন্দুক হামলার একদিন আগেই প্যাডক তাঁকে এক লাখ ডলার পাঠান বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন।
প্যাডকের ছোট ভাই এরিক প্যাডক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, তাঁর ভাই মারিল্যুকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর ভাষায়, ‘তিনিই সম্ভবত একমাত্র মানুষ, যার জন্য ছোট কিছু একটা করতেও বেরিয়ে পড়তেন ভাই।’