‘আপনি জান্নাতুল নাঈম বলছেন?’
‘আপনি কে বলছেন?’
‘আমি সাংবাদিক বলছি।’
‘আমি এখন বাইরে আছি।’
‘কোথায়?’
‘আমি কোনো কথা বলতে পারব না।’
‘এক মিনিট কথা বলব।’
‘আমি এখন রাস্তায়।’
‘কতক্ষণ পরে কথা বলব?’
‘আমার তো অনেক কাজ আছে। আপনি কেন আমাকে ফোন দেবেন? আমি শুটিংয়ের জন্য বের হয়েছি।’
‘আপনার বিয়ে নিয়ে কথা বলতে চাই।’
‘দেখুন, আমি এখনো বিয়ে করিনি। আমার বিয়ে হয়নি। আমার শুধু এনগেজমেন্ট হয়েছিল। আর আমি এ ব্যাপার নিয়ে কোনো কিছুই এখন বলতে চাইছি না। আগামী পরশু সংবাদ সম্মেলন করা হবে, সেদিনই সবকিছু বিস্তারিত বলব। আমি প্রেস কনফারেন্স ডাকছি। সেদিনই আপনারা সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।’
‘আপনার বিয়ের ছবি আর ভিডিওগুলো কি তাহলে মিথ্যা?’
‘আমি আপনাকে আগেই বলেছি, বিয়ে হয়নি। আর আমি ওই সময়টাতে এনগেজমেন্টটা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, কারণ আমার বয়স তখন ছিল ১৬। আমি চাইনি ওই বয়সে বিয়ে করতে।
‘এনগেজমেন্টে মালাবদল করেছিলেন?’
‘আমি এখন রাস্তায়।’
এরপর ফোনের লাইন কেটে দেন জান্নাতুল নাঈম, ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’। চট্টগ্রামের মেয়ে জান্নাতুল নাঈমকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বরে চীনে অনুষ্ঠেয় ৬৭তম ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। তবে বিচারকদের মধ্য থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের রায় পাল্টে আয়োজকদের পছন্দে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে জান্নাতুল নাঈমকে। এরপর থেকে তাঁকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, তিনি ২০১৩ সালের ২১ মার্চ চন্দনাইশ পৌর এলাকার বাসিন্দা ও কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুনজুর উদ্দিনকে বিয়ে করেন। তাঁদের বিয়ের দেনমোহর ছিল আট লাখ টাকা। বিয়ের উকিল হন মেয়ের বাবা তাহের মিয়া। বিয়েতে কাজি ছিলেন আবু তালেব। একই বছরের ১১ জুন তালাকনামায় সই করেন জান্নাতুল নাঈম। অনেক চেষ্টার পর আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিক এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় জান্নাতুল নাঈমের।