এক ক্যাচেই আলোচনায় লিটন

Slider খেলা

72b901bf38d6154841755d6850b22386-59d122a40b203

উইকেটের পেছনে নির্ভরতা দেওয়ার মতো কাউকে তাহলে শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল! দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার যে ছয় উইকেট পড়েছে তার পাঁচটিতেই আছে লিটন দাসের অবদান। টেন্ডা বাভুমার ক্যাচটা তো রীতিমতো চোখে আটকে থাকার মতো! দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে সেই ক্যাচ নিয়ে বাভুমার প্রশংসাও পেয়েছেন লিটন।
‘এ রকম ক্যাচ সচরাচর হয় না। আমি নিজে অন্তত এ রকম ক্যাচে আগে আউট হইনি। অসাধারণ ক্যাচ। দ্বিতীয় উইকেট কিপার হিসেবে খেললেও এই টেস্টের পুরোটাই সে খুব ভালো কিপিং করেছে’—বলেছেন বাভুমা। এর আগে হয়ে যাওয়া লিটনের সংবাদ সম্মেলনেও তাঁর উইকেট কিপিংয়ের প্রসঙ্গ একাধিকবার এসেছে। লাজুক হেসে লিটন বলেছেন, ‘আমি কিপিং সব সময়ই উপভোগ করি। কখনো মিস হয়ে যায়, কখনো ভালো কিছু হয়। এটা খেলারই অংশ। তবে ভালো ক্যাচ নিতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে।’
লিটন এ রকম ক্যাচ আগেও নিয়েছেন একবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের গল টেস্টে নিরোশান ডিকভেলার সেই ক্যাচটাই যেন কাল আরেকবার দেখা গেল পচেফস্ট্রুমে।
হার এড়াতে কাল সারাদিন ব্যাটিং করা চাই বাংলাদেশের। আর জিততে হলে করতে হবে ৩৭৫ রান। দুটোই খুব কঠিন এবং দ্বিতীয়টি বেশি কঠিন। লিটন জানালেন, শেষ দিনে তাই ড্রয়ের জন্যই ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ, ‘পঞ্চম দিনে তিনশ-সাড়ে তিনশ রান তাড়া করে জেতা যায় না। আমাদের তিন উইকেট চলে গেছে। চেষ্টা করব ভালো কিছু করতে। তবে এখান থেকে জেতা কঠিন। ড্র করার চেষ্টা থাকবে।’
লিটনের বিশ্লেষণ বলছে, ম্যাচে এখনো পশ্চাৎপদ হয়ে পড়েনি বাংলাদেশ। এক-দুইটা ভালো জুটি হলে এখান থেকেও সম্ভব ভালো কিছু অর্জন করা, ‘আমরা এখনো ব্যাকফুটে যাইনি। যদি ভালো দুই-একটা জুটি হয় হয়তো কিছু হতে পারে।’
অবশ্য চতুর্থ দিন শেষেই শুধু নয়, এই টেস্টে বাংলাদেশ দল কখনোই পিছিয়ে পড়েনি বলে দাবি তাঁর, ‘প্রথম দিনে হয়তো ওদের ১ উইকেট পড়েছে, কিন্তু রান ৩৫০-৪০০ হয়ে যায়নি। চার দিন গেছে, আমরা এখনো ম্যাচের বাইরে নই। টেস্ট ক্রিকেটে আপনি সব সময় জয় পাবেন না। কখনো হারবেন, কখনো ড্র হবে। এমন নয় যে জিততেই হবে আপনাকে। না জেতা মানে এই নয় যে, আমরা ম্যাচে নেই। প্রথম দিন থেকে আমরা ম্যাচে ছিলাম এবং এখন পর্যন্ত আছি।’
লিটনের ক্যাচের মতো চতুর্থ দিনের আরেকটা আলোচিত বিষয় আম্পায়ারের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তে মুমিনুল হকের রিভিউ না নেওয়া। ইমরুলের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি। অথচ পরে টিভি রিপ্লেতে তো বটেই, প্রথমে সাদা চোখেও দেখে মনে হয়েছে ওটা এলবিডব্লিউ নয়। লিটনের কাছ থেকে জানা গেল, এ নিয়ে আফসোস আছে ড্রেসিংরুমেও, ‘আফসোস তো একটু আছেই। পরে দেখে মনে হয়েছে রিভিউ নিলে ভালো হতো আমাদের জন্য। ওটা আউট ছিল না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *